দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: রমজান মাস প্রায় শেষ।চলে এসেছে ঈদুল ফিতর।নারায়ণগঞ্জ জেলার বড় বড় শপিংমল বা মার্কেট গুলো থেকে এবারের ঈদে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের বেচা-বিক্রি তুলনামূলক ভালো।
অন্যদিকে কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধিও মানছে না এ সকল ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
শনিবার (৮ মে)সকাল থেকে শহরে সারাদিন ঘুরে দেখা যায় ভিড় বেড়েছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
এদিন প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করেই ফুটপাতের দোকান থেকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের কেনাকাটার প্রধান পছন্দ হয়ে উঠেছে নগরীর ফুটপাতের বাজারগুলো।
কালিবাজার দেখা যায়, মার্কেটের ভেতরের চেয়ে মাঝখানের ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি। সিটি কর্পোরেশনের এ মার্কেটের আশেপাশে খালি ফুটপাতগুলো এখন গমগম করছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায়। শত শত মানুষ ভিড় করছেন তুলনামূলক কম দামে পণ্য কেনার জন্য। তাই সারাক্ষণই হাঁকডাকে সরগরম প্রতিটি দোকান।
বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে শার্ট ও প্যান্টের পসরা সাজিয়ে বসেছেন শতাধিক ব্যবসায়ী। তারা জানায় বিক্রি ভালোই হচ্ছে। পুলিশি কড়াকড়ি নেই তেমন। সকাল থেকেই ক্রেতা আসতে শুরু করেছেন। মাঝে যোহর নামাজের সময় বিক্রি সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে নামাজের পর আবার ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।
এদিকে, হকার্স মার্কেট এলাকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের বিক্রিও ততই বাড়ছে। আশেপাশের এলাকায়, এমনকি ফুট ওভারব্রিজের ওপরে শতশত হকার তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, করোনার মধ্যেই তাদের বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। ভিড় থাকলেও মানুষের হাতে টাকা না থাকায় বেচাকেনা কম হচ্ছে।
শহরের বড় বড় শপিংমল ও বিপণিবিতান সংলগ্ন ফুটপাতেও বসেছেন ব্যবসায়ীরা। বঙ্গবন্ধু সড়কের সায়াম প্লাজা পাশে ফুটপাত থেকে দুই জোড়া জুতা কিনেছেন ইয়াকুব আলী।
তিনি বলেন, সস্তা মনে হলো, তাই বাচ্চাদের জন্য দুই জোড়া জুতা কিনলাম। এবার ঈদে তেমন কিছু কেনার পরিকল্পনা ছিল না। কমে পেলাম বলে কেনা হলো।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঈদে গ্রামে ফিরছে না মানুষ। এজন্য তারা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন। মানুষ গ্রামে ফিরলে ফুটপাতে বিক্রি আরও ভালো হতো।
ঈদ কেনাকাটায় বিত্তবানদের প্রয়োজন না হলেও, নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য একরকম আশীর্বাদ শহরের ফুটপাতের বাজার। তবে বিত্তবানরাও ফুটপাত থেকে গ্রামের মানুষ এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য কাপড়চোপড় কিনতে দেখা যায়। সব মিলিয়ে সাধ্যের মধ্যে সেরা জিনিসটা খোঁজার জায়গা এ ফুটপাতের দোকানগুলো।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,শহরের জুড়ে বেশ কিছু রাস্তার ফুটপাতে চলছে ঈদের কেনাবেচা। এর মধ্যে মধ্যে জমে উঠেছে চাষাড়া,হকার্স মার্কেট,বঙ্গবন্ধু সড়ক,প্রেসিডেন্ট সড়ক,সলিমুল্লাহ রোড,কালিবাজার,দুইনং রেলগেইট, ডিআইটি,১নং রেলগেইটের ফুটপাতেও জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।