দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বন্দর স্কুলঘাট যাত্রী ছাউনী ভেঙ্গে ফেলায় চরম দূর্ভোগের শিকার হন সাধারণ যাত্রীরা। সামান্ন বৃষ্টি হলেই আর দাড়ানোর জায়গা থাকেনা। ভেজা কাপড় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হয় সাধারন মানুষদের। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারন যাত্রীরা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ টানবাজার ঘাটের ইজারাদার যুবলীগ নেতা মাসুম আহমেদের নিজস্ব অর্থায়নে বন্দর স্কুলঘাট যাত্রী ছাউনী পূণরায় স্থাপন করে দেন।
জানা গেছে,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন বন্দর স্কুল ঘাট এলাকায় পুরনো যাত্রী ছাউনীটি কয়েক মাস পূর্বে ভেঙ্গে ফেলা হয়। এবং নতুন আঙ্গিকে যাত্রী ছাউনী করবে বলে আশ^াস দেন নাসিক কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে যাত্রী ছাউনীর নকশা জমা দেয়া আছে বলে তারা জানান।
এদিকে এই যাত্রী ছাউনীটি ভেঙ্গে ফেলায় স্কুলঘাট দিয়ে শহরে যাতায়াতরত যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে। সাধারন যাত্রীদের কথা চিন্তা করে যুবলীগ নেতা মাসুম আহমেদ নিজ অর্থায়নে বাশ ও মোটা চান্দিনা দিয়ে অস্থায়ী যাত্রী ছাউনী করেন। যাতে মানুষ অন্তত শীতলক্ষ্যা নদী পার হয়ে একটু দাড়ানোর জায়গা পায়। প্রচন্ড জলসানো রৌদ্র থেকে পরিত্রান পেতে যাত্রী ছাউনীতে মানুষ একটু আশ্রয় খুজে পায়।
এ বিষয়ে সাধারন যাত্রীরা জানান,নারায়ণগঞ্জ টানবাজার ঘাট হতে বন্দর স্কুল ঘাট পার হলেই একটি যাত্রী ছাউনী ছিল। যেখানে মানুষ একটু দাড়াতে পারত। নাসিক কর্তৃপক্ষ এটাকে ভেঙ্গে ফেলায় চরম ভোগান্তির শিকার হয়। প্রচন্ড রোদ মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। একটু বৃষ্টি হলে দাড়ানোর জায়গা থাকেনা। যুবলীগ নেতা মাসুম ভাই সাধারন যাত্রীদের কথা চিন্তা করে অস্থায়ীভাবে যাত্রী ছাউনীটি করে দেওয়া তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী আপাকে স্থায়ীভাবে যাত্রী ছাউনী করে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে নাসিক’র এক প্রকৌশলী বলেন,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন স্কুল ঘাটের যাত্রী ছাউনীটি ভেঙ্গে ফেলার কারন হচ্ছে নতুনভাবে এটার নকশা জমা দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই আপনারা যাত্রী ছাউনীটি দৃশ্যমান পাবেন।
এ ব্যাপারে নাসিক ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া জানান,নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী আপা শহরকে আধুনিক করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে। স্কুলঘাট যাত্রী ছাউনীটি অচিরেই নতুন রুপে দৃশ্যমান হবে বলে আমরা আশা করছি। যাত্রীদের সুবিধার্থে পুরনো যাত্রী ছাউনী ভেঙ্গে নতুন ভাবে করার প্রক্রিয়া চলছে। নাগরিক সুবিধা শতভাগ নিশ্চিৎ করার লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।