দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ পুলিশের বাঁধার মুখেও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে সফল করলেন আবুল কাউছার আশা।
শুক্রবার (১১ জুন) বেলা ১১ টায় নবীগঞ্জ দরগাঁ সংলগ্ন এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে বন্দর থানা পুলিশ সম্মেলন বন্দ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদেরকে অনুষ্ঠান স্থল থেকে নাসিক ২২নং ওয়ার্ডস্থ তার নিজ বাস ভবনে নিয়ে যান। সেখানে বিকেল ৩ টা পযর্ন্ত মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশার সভাপতিত্বে এ কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিভাগের টিম লিডার এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি (ঢাকা বিভাগ) আলিফ হোসেন হাওলাদার,
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসগর হায়াত লিমন,সহ-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জুলফিকার জনি, মাহমুদুল বারী, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্রামুজ্জামান খান টুকন, শরিফ ফেরদৌস, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিভাগের টিম লিডার এ কে এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, রাতের আধারে জনগনের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের অধিকার হরন করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশের অসহায় মানুষকে মুক্ত করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। তার কোন ক্ষমতার লোভ ছিলোনা। তাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আবারও সেনাবাহিনীতে চলে যান। আর যারা ক্ষমতার লোভে ছিলেন তারা স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এ দেশে বাকশাল কায়েম করে ছিলো।
তিনি আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন এদেশের খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নেতা ও সিপাহী জনতার বিপ্লবের ফসল। তিনি এ দেশের প্রথম জনগনের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। যিনি সব সময় দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য নিরলশ পরিশ্রম করে গেছেন। তার রেখে যাওয়া স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে পরবর্তী সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। এই অবৈধ ভোট চোর সরকার আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগাড়ে প্রেরন করেছে।
আর তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানকে দেশে প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি। কারন সরকার বিএনপিকে ভয় পায়। সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ করার অনুমতি পায়। অথচ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না। একটি স্বাধীন দেশে এই ভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার হরন করে বিরোধী নিধনে সরকার সব সময় রাষ্ট্রযন্ত্র প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তাই এই পরিস্থিতি থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থেকে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, মোস্তাক আহম্দে, মেহেদীহাসান, আরাফাত চৌধুরী, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মনির হোসেন, কামরুল হাসনাত শরীফ, সালেহ আহম্মেদ ওপেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসেন লিয়ন, রাজু আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মহানগর ছাত্র দলের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন আলতাব সহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন থানা, ইউনিয় ও ওয়ার্ডেও নেতৃবৃন্দ।