দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত চলতি বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দলের নেতারা মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঘোষনা না দিলেও গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করার জন্য।
তবে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের নিয়ে সর্বমহলেই চলছে বেশ আলোচনা। ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থীরাও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন তো বিএনপি।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী ছাড়া এখনও কোন হেভীওয়েট প্রার্থীদের শক্ত ভাবে প্রার্থীর হওয়ার ঘোষনা দিতে দেখা যায়নি।
অপরদিকে, বিএনপির মধ্যে একাধিক প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে অংশ গ্রহন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন সুবিধা জনক অবস্থানে।
এদিকে, বিএনপি থেকে মেয়র হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র-সহসভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান, আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মা
কসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে ইতিমধ্যে নানা সমালোচনার কারনে এই তালিকা থেকে একাধিক নেতা ছিটকে পরেছেন নির্বাচনী অবস্থান থেকে। আর যারা রয়েছেন তাদের অনেকেরই রাজনৈতিক পারায় নানা সমালোচনায় আবদ্ধ।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্রোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে যারা প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তাদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়,
এ বিষয় এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।
এ বিষয় আতাউর রহমান মুকুল বলেন, কখনই কাউকে বলিনি আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করবো। আর আমার ইচ্ছা নেই। আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহন করবো না।
এ বিষয় এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই কিছু কু-চক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের মিথ্যা ও বিভ্রান্তি মূলক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাছে। সেখানে প্রকাশ করা হয়েছে আমি বিএনপি ছেড়ে অন্য দলে যাচ্ছি তাছাড়া আরও বলা হয়েছে আমি বিএনপিকে ভাঙ্গার চেষ্টা করছি। আমার দল ছাড়া ও ভাঙ্গার প্রশ্নই আসে না।
যদি তাই হতো তাহলে আমি দলের সাথে ৩৭ বছর পারকরতাম না। সেই সাথে দলের এই দু:সময়ে গুরুপুর্ন পদে থেকে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতাম না। সেই সাথে নারায়ণগঞ্জের মত গুরুত্বপুর্ন জেলায় বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য মহানগরের দায়িত্ব নিতাম না। আর চেষ্টা করতাম ক্ষমতাশীনদের সাথে আতার করে সুবিধা নেয়ার। আমি কখনই সুবিধা নেয়ার রাজনীতিত্বে বিশ^াসী না। যদি তাই হতো শেষ বয়সে এসে সংসার চালানোর জন্য আইনী পেশায় জড়িত হতে হতো না।
তিনি আরও বলেন, আধমন ঘিও হবে না, রাধাও নাচবে না । সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে যে কেউ কারো সাথে ছবি তুলতে পারে । তাই মানে কেউ কারো আর্দশ বিচ্যুতি হতে পারে না। আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে আগেও ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আমি বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন যদি দল নির্বাচনে অংশগ্রহন করে। আর আমাকে যদি দল থেকে মনোনয়ন দেয় আমি দলের পক্ষ হয়ে নির্বাচন করবো। আর যদি আমাকে না দিয়ে কোন সিনিয়র গ্রহনযোগ্য নেতাকে দল সমর্থন দেয় আমি তার পক্ষ হয়ে কাজ করবো।
এ বিষয় মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিব করেনি।