দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী(৩৫)’র সাথে তার ভাগ্নে(১৭) অবৈধ সম্পর্কের খবর পাওয়া গেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় ২১নং ওয়ার্ডস্থ এনায়েত নগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাগেছে, বন্দরের এনায়েত নগর এলাকায় দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রীর সাথে তারই ১৭ বয়সী তরুন ভাগ্নে একই ঘরে রাত্রি যাপন করত। প্রবাসী স্ত্রী তার ননাসের ছেলে তরুন ভাগ্নের জন্মদিন উপলক্ষে তাদের বাড়িতে আসে। ভাগ্নে ছোট বলে জন্মদিন অনুষ্ঠান শেষে প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রীর সাথে ননাসের ছেলেকে একই বিছানায় রাতে ঘরে ঘুমাতে দেয়। ছোট বলে কেউ কিছু মনে করত না।
গোপনে তাদের উভয়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় প্রতি রাতেই তারা দৈহিতভাবে মিলিত হত। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় আপত্তিকর অবস্থায় স্বজনদের কাছে ধরা পড়ে গেলে প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী তার পিত্রালয় কুমিল্লায় চলে আসে। পরে কিছুদিন পর ওই প্রবাসীর স্ত্রী ফের এনায়েত নগর আসলে ভাগ্নে গোপনে আবার মামী প্রেমে মশগুল হয়ে পূণরায় মিলিত হয়।
এ ঘটনা জানাজানি হলে ভাগ্নের পরিবার ওই প্রবাসী স্ত্রীর বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতেই প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী বাদী হয়ে তার ননাসের ছেলে ভাগ্নের বিরোদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ এনে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ৬(৯)২১ইং।
পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাতেই সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ভাগ্নে (১৭)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত তরুন ভাগ্নে ২১নং ওয়ার্ডস্থ এনায়েতনগর এলাকার ভাড়াটিয়া মনির হোসেন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে রোববার সকালে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে পুলিশ একই দিনে ধৃতকে ওই মামলার অভিযোগে আদালতে প্রেরণ করেছে।
(৩৫)কে ধর্ষনের ঘটনায় লম্পট ভাগ্নিার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে ভূক্তভোগী মামি বাদী হয়ে লম্পট ভাগ্নিাকে আসামী করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৬(৯)২১। পুলিশ মামলা দায়েরের ওই রাত সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট ভাগ্নিা খোকা (১৭)কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত লম্পট খোকা সোনাকান্দাস্থ এনায়েতনগর এনায়েতনগর এলাকার ভাড়াটিয়া মনির হোসেন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে রোববার সকালে ডাক্তারি পরিক্ষা জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছ। সে সাথে পুলিশ একই দিনে ধৃত লম্পট খোকাকে ওই মামলা আদালতে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, ধর্ষন মামলার বাদিনী ও বিবাদী দীর্ঘ দিন ধরে একই এলাকায় পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৬ জুন প্রবাসী স্ত্রী তার ননাসের ছেলে লম্পট খোকার জন্মদিন উপলক্ষে তাদের বাড়িতে আসে। জন্মদিন অনুষ্ঠান শেষে বাদিনীর ননাস হাসিনা বেগম তার ছেলে লম্পট খোকাকে ছোট ভেবে রাতে বাদিনী ঘরে ঘুমাতে দেয়। বাড়ি সবাই যে যার ভাবে ঘুমিয়ে পরলে ওই সুযোগে লম্পট ভাগ্নিা খোকা তার মামিকে ইচ্ছা বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে।
ধর্ষনের পরে ভূক্তভোগী মামি লজ্জায় তার গ্রামের বাড়ি কুিমল্লা চলে আসে। পরে ভূক্তভোগী প্রবাসী স্ত্রী কিছু দিন কুমিল্লা থাকার পর পুনরায় সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকায় ফিরে আসে। ওই সুযোগে লম্পট ভাগ্নিা খোকা মিয়া গত ৩ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় ধর্ষনের ঘটনাটি এলাকায় জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুনরায় প্রবাসী স্ত্রী ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও জোর পূর্বক ভাবে ধর্ষন করে।
এ ব্যাপারে ভ’ক্তভোগী প্রবাসী স্ত্রী বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক বারেক হাওলাদারসহ সঙ্গীয় র্ফোস এনায়েতনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে লম্পট খোকাকে গ্রেপ্তার করে।