দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফাইজলামানি করো, ফাইজলামানি সুডাইয়ালামু একধম। একধম টেঙ্গরী ভাঙ্গিয়া লামু, বক্তাবলী যাইয়া কিভাবে ভোট চাস দেইখালমু..
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার অপরাধে ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের হাতে নাজেহালের শিকার হওয়ার পাশাপাশি এধরনের মন্তব্য শুনতে হয়।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় জাতীয় পার্টির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম আব্দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধো পার্টির সভাপতি আব্দুল মোতালেব, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জাতীয়পার্টির নেতা সোবহান হোসেন মন্সিুর, শফিকুল ইসলাম, সিরাজ ও মানিক।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, জাতীয় পার্টির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিং করছিলেন। এ সময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়াত আলম সানি, যুবলীগ নেতা আনোয়ার আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তৈয়ব আলী সহ নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন। পরে জাহাঙ্গীর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকে ডেকে নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন করে।
অবস্থার বেগতিক দেখে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন ও তার অন্যান্য সদস্যরা গাড়ীতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। এ সময় যুবলীগ নেতা আনোয়ার আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তৈয়ব আলী সহ নেতাকর্মীরা গাড়ীর থামিয়ে রাস্তা দাড়িয়ে বলে মনোনয়ন জমা দিয়া ফাইজলামানি করো, ফাইজলামানি সুডায়লামু একধম। একধম টেঙ্গরী ভাঙ্গিয়া লামু, বক্তাবলী যাইয়া কিভাবে ভোট চাস দেইখালমুৃৃ.. এই বলে গাড়ীতে লাথি মারে। পরে আবুল হোসেন তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এ বিষয় জাতীয় পার্টির সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমাকে যতই পেশী শক্তির ভয় দেখানো হউক জীবিত থাকা অবস্থায় আমি নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবো না। কারন শওকত সাহেব তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন। আমি গতবারও নির্বাচন করতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু শওকত সাহেব অনেক অনুরোধ করে বলেছেন আমার বয়স হয়ে গেছে এটাই আমার শেষ নির্বাচন।
আগামীতে আমি আপনার হয়ে আপনার পক্ষে নির্বাচনের কাজ করবো। কিন্তু তিনি কথা রাখেন নাই। দল যেহেতু আমাকে সমর্থন দিয়েছে আমি নির্বাচনী মাঠে থাকবো কোন রক্তচোখুকে ভয় পেয়ে বেঁচে থাকতে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবো না। কারন এটা গণতান্ত্রিক দেশ আর একজন বাঙ্গালী হিসেবে এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার।