নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা কুতুবপুর লামাপাড়ার নয়ামাটি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু চুন্নু জেল হাজতে আটক থাকলেও বন্ধ হয়নি তার অবৈধ কর্মকান্ড। তার অবর্তমানে সেই অবৈধ আখড়া নিয়ন্ত্রন করছে ভায়রা শরীফ সহ বাদশা, তোফাজ্জল, রানা ও জনি সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার পর চুন্নুর আধিপত্যকে ধরে রাখতে ইতিমধ্যেই এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অশ্র সহ মহড়া দিয়েছে তার সহযোগীরা।
আর এটা করন হিসেবে এলাকা বাসী জানান, কুতুবপুর লামাপাড়া নয়ামাটির ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীর নাম চুন্নু। ২০ এপ্রিল অশ্র ও মাদক সহ এই সন্ত্রাসী নিজ বাড়ী থেকে আটক হওয়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে অনেকটাই স্বস্থি ফিরে এসেছিলো। কিন্তু তার ভায়রা শরীফ সেই আধিপত্যকে ধরে রাখতেই সন্ত্রাসীদের দিয়ে অশ্র সহ মহড়ায় তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। সেই সাথে চুন্নুর অবৈধ কর্মকান্ডকে পুণরায় জাগ্রত করে রেখেছে।
এখন চুন্নু জেল হাজতে আটক হলেও এই চার খলিফার নিয়ন্ত্রনে চলছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম।
এদিকে, সন্ত্রাসী চুন্নুর চার খলিফার আরো কিছু মামলার বিবরন তুলে ধরা হলো, কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার মনির হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান মুন্না ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানাযায়, ফয়সাল,শরীফ, জয় মিয়া,শরীফ, বাদশা,শহীদ,ফরিদ, ইব্রাহীম এর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আর সেই মামলা তিনি বিবরনে জানান মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়াতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীরা অর্তকৃত হামলা করে। সেই সাথে তার সাথে থাকা নগদ অর্থ স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পাশাপাশি তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
এছাড়াও, কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার আম্বর আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় মারপিট, জখম, শ্লীলতাহানি, প্রাণ নাশের হুমকী, চুরির অভিযোগ এনে শরীফ, বাদশা, তোফাজ্জল, রানা সহ আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে মামলাদায়ের করেন। যার মামলা নং ৬৬। ২০১৬ সালের ২রা আগষ্ট র্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক ও বিক্রির নগদ অর্থ সহ আটক হয় বাদশা, শামীম, মামুন সহ চার জন ব্যবসায়ী।
এছাড়াও, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর র্যাব-১১ এর অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ও মাদক সহ আটক হয় শরিফ ও বিল্লাল এসময় তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চুরির মামলায় শরীফ সহ আরেও একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এছাড়াও একাধিক বার জেলা গোয়েন্দা, পুলিশ, র্যাব, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে মাদক ও অশ্র সহ চুরির মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়ে ছিলো।