দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভুক্তভোগী রানার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে হাসিনা রহমান শিমু গংদের বিরুদ্ধে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডস্থ বন্দর থানাধীন কদম রসূল বড় বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয় ভুক্তভোগী নাজমুল হক রানা জানান, ফেরদৌসুর রহমান সেলি (৫০) স্বামী মজিবুর রহমান মজনু, হাসিনা রহমান শিমু (৩০), মশিউর রহমান শুভ ২৪), শান্ত উভয় পিতা মজিবুর রহমান মজনু সহ অজ্ঞাত নামা কতিপয় সন্ত্রাসী লোকজন নিয়া আমার পৈত্রিক সম্পাত্তি দখল করার পায়তারা করছিলো। আমি নিরুপায় হইয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রট আদালতে পিটিশন মোকাদ্দমা দায়ের করি। যাহার নং ২৩৩/২০২১ ধারা ফৌ: কা: বি: ১৪৪। অতঃপর বিজ্ঞ আদালত ১৩/০৯/২০২১ ইং তারিখ উক্ত মোকাদ্দমার রায় ও আদেশ প্রদান করেন।
রায় ও আদেশে উল্লেখ্য করা হয়, ১ম পক্ষের আরজি, ২য় পক্ষের লিখিত জবাব, দাখিলকৃত কাগজপত্র ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন্দর থানায় সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় দেখা যায় নালিশা ভূমি নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ বন্দর আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দম নং৯২/২০২০ এবং ১ম পক্ষের নামজারী মোকদ্দমা নথিজাত হওয়ায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নারায়ণগঞ্জ আদালতে মিস আপীল মোকদ্দমা নং ০৪/২০২০ চলমান রয়েছে। এছাড়া জমি সংক্রান্ত মারামারি ঘটনায় বাদীপক্ষের দায়েরকৃত পিটিশন মোকদ্দমা নং ২১৮/২০১৯ বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন বলে তদন্তে উল্লেখ আছে।
এরুপ পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের উপর ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৪৪ ধারায় নিস্পত্তি করা প্রয়োজন অন্যথায় বিরোধীয় জমির দখলকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ফৌজদারী অপরাধ সংঘটনের সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে।
এছাড়াও বাদী পক্ষ হলফযোগে এক দরখাস্ত দ্বারা বর্ণিত কারণে দেঃ কাঃ বিঃ আইনে ১৫১ ধারার বিধান মতে বিগত ইং ১৩/১০/২১ তারিখে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ১-৫নং বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অত্র মোকদ্দমা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জবংঃৎধরহবফ এর আদেশের প্রার্থনা করে নথি পেশ করা হয়। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আগামী ২৪/১০/২১ তারিখ পযর্šÍ উভয় পক্ষের নালিশা জমির দখল, আকার, আকৃডু পরিবর্তন ও হস্তান্তর বিষয় উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নিদের্শ প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ অবস্থায় নালিশা ভূমি নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ বন্দর আদালত দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৯২/২০২০ চলমান থাকায় আদালতে মামলা নিস্পত্তিপুর্বক নথিজাত করা হলো এবং উক্ত দেওয়ানী মোকদ্দমা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশা ভুমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে বলা হলো ও নালিশা ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিষয় সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু বিবাদীগন বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার পৌত্তিক সম্পত্তির মধ্যে সিমানা দেয়াল নির্মান করছে। যা আদালতের আদেশকে অবমাননা করা হচ্ছে। এ বিষয় বন্দর থানা পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এ বিষয় বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি মুঠোফোনটি রিসিভ করেননি।