দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
রোববার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবুল আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু,
সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, আওলাদ হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, মহানগর যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, মহানগর মহিলা দলের নেত্রী আয়সা আক্তার দিনা।
এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের দুর্যোগের সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়ে ছিলো। ৭১ সালে নিজের পরিবার পরিজনকে বিপদে রেখে দিশেহারা বাঙ্গালী জাতির পাশে এসে দাড়িয়ে ছিলো।
স্বাধীনতার পর যখন এদেশে লুট রাজহানী, পবিত্রস্থান শহীদ মিনারের মত জায়গায় মা-বোনদেরকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এদেশের মানুষের বাক-স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকার হরন করা হয়েছিলো। ঠিক তখনই ৭ই নভেম্বর সিপাহী জনতা মিলে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলো। আর সেই থেকে এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মানুষের বাক-স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরে এসেছিলো।
আবারও তারা ক্ষমতায় এসে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। বর্তমান এদেশে আওয়ামী লীগের যে অবস্থা। এখন আর আওয়ামীলীগ নাই বর্তমান হচ্ছে আমলা লীগ। এখন দেশ আওয়ামীলীগ চালাচ্ছে না চালাচ্ছে আমলা লীগ দিয়া দেশ চালাচ্ছে শেখ হাসিনা। দেশের জনগনকে নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নাই, আর থাকবেই বা কেন। কারন তারা জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় রাতের আধারে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। আজকে সরকারী সকল দপ্তরে দলীয় করন করা হয়েছে। এখন সরকারী অফিসাররাও তাদের দলীয় শ্লোগান দেয়।
তাই আর সহ্য করা যায় না, ৭নভেম্বর থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও একটি বিপ্লব ঘটাতে হবে।
এ সময় আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো মানুষের বাকস্বাধীনতা, মানুষের মৌলিক অধিকার, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু আমরা কি দেখলাম তারা ক্ষমতায় বসে স্বাধীনতার উদ্দেশ্যকে বুলণ্ঠিত করেছে। এ দেশে বাকশাল কায়েম করে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিলো।
বর্তমানও তাই করা হচ্ছে এখন মানুষের ভোটের অধিকার নাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই। এই ৭ই নভেম্বর মানুষের অধিকার আদায়ের শিক্ষা দেয়, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করে। তাই বর্তমান দেশের এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের ঘুরে দাড়াতে হলে আরও একটি ৭ই নভেম্বরের আর্বিভাব ঘটাতে হবে। বিপ্লব ও সংহতির চেতনা নিয়ে আরও একটি গণ-বিপ্লব ঘটাতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী নুরু উদ্দিন আহম্মেদ, মহানগর বিএনপির গণ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বরকত উল্লাহ বুলু, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. সুমন মিয়া, এ্যাড. মোস্তাক আহমেদ, সহ-প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বাবু, মহানগর বিএনপি নেতা আল-মামুন, হারুন শেখ, মানিক বেপারী, হাফেজ সিব্বির আহমেদ, মহানগর যুবদল নেতা ফয়েজ উল্লাহ সজল, মহানগর মহিলা দলের নেত্রী ডলি আহমেদ,
মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মামুনুর রশিদ মামুন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, সদস্য কায়ুম, শাহিনুর ইসলাম সুমন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।