দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি কি অংশ গ্রহন করবে। এই নিয়ে সর্বমহলেই চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেরই ধারনা বেগম খালেদা জিয়ার গুরুত্বর অসুস্থ্যতার সময় নির্বাচন নিয়ে ভাবছে না বিএনপি।
আবার কারো কারো দাবি দলের হাই কমান্ড যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঘোষণা দিয়েছেন, যদি কেউ নির্বাচন করতে চায় সে ক্ষেত্রে সতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করলে সেখানে দলের কোন আপত্তি নেই। তাহলে ধারণা করা যেতে পারে কৌশলতা অবলম্বন করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে বিএনপি।
সব কিছুই জনসম্মুখে পরিষ্কার হতে সময় লাগবে আরও ২/১ দিন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে যারা দলের সমর্থন পাওয়া বা প্রার্থী হওয়ার জন্য আশায় বুক বেধেঁছেন তারা সবাই কথা বলছেন প্রায় একই সুরে।
এ বিষয় জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, দলের মহাসচিবের সাথে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। সঠিক সিদ্ধান্ত আশার পর আমি জানাতে পারবো। তবে এই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা। এর বাইরে কিছু চিন্তার করতে পারছি না। তবে দল থেকে বলছে আমাকে নির্বাচন করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আর বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আর্ন্তজাতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন। এই মুর্হুতে গণতন্ত্রহীন দেশে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কতটুকু গ্রহন যোগ্য হবে তাও দেখার বিষয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম বলেন, এই মুর্হুতে আমাদের নেত্রী বেগমখালেদা জিয়া গুরুত্বর অসুস্থ্য আমাদের একটাই চিন্তা কিভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো যায়। আর নির্বাচনের বিষয় যদি বলি এটা সময় লাগবে। যেহেতু ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে সিনিয়র নেতাদের সাথে আলোচনা না করে আমি কিছু বলতে পারবো না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএমকামাল বলেন, এই মুর্হুতে ম্যাডামখুবই অসুস্থ্য তার উন্নত চিকিৎসা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ন। দেশনেত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য জনগণের সমর্থন আছে। তাই সরকার এই বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে এবং বিএনপিকে নির্বাচন থেকে ধুরে রাখতেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে দলের মহাসচিব যেহেতু ঘোষণা দিয়েছেন দলের কেউ যদি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চায় তাহলে সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে দলের নীতি নিধারকদের সাথে আলোচনা করে আমরা মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, দল যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আমি মনোনয়ন চাইবো। যদি আমাকে দেয় ভাল আর না দিলে যাকে দিবে তার পক্ষ হয়ে কাজ করবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি কিন্তু সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো না। আর এই মুর্হুতে দলের নেত্রী আমাদের মা গুরুত্বর অসুস্থ্য সেই সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে সরকার দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে চাইছে। এই মুর্হুত্বে নেত্রীর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা আমাদের সবচেয়ে বেশি জরুরী। সেই ক্ষেত্রে মেয়র, এমপি, মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে নেত্রীর চিকিৎসা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপুর্ন। তিনি আরও বলেন, তারপরও দল যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আমি দলের সমর্থন চাইবো।