দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ কর,সমঅধিকার নিশ্চিত কর’এই প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ(২৫ নভেম্বর -১০ ডিসেম্বর) ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২১ পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(দোসরা ডিসেম্বর)দুপুর ১২টায় আমলাপাড়া মহিলা পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলন।
সংগঠনের সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক এড.হাসিনা পারভীন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন,সাংগঠনিক সম্পাদক প্রীতি কনা দাস নুপুর,লিগ্যাল এইড বিষয়ম সম্পাদক শাহানারা বেগম,গবেষনা পাঠাগার অধ্যাপিকা তরিতা সাহা,যুগ্ম প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ সুজাতা আফরোজ,সুমি সরকার প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষী চক্রবর্তী বলেন,কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় নারী নির্যাতন কিন্তু অনেক বেশি। করোনার মহামারিকালে এই নির্যাতনের সংখ্যা আরো বেড়ে গেছে। আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো আমরা এই ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিচ্ছি আমরা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গত ২০জুলাই-২১ সাল পর্যন্ত রান্না করা খাবার,হেন্ড স্যানিটাইজার,হেন্ড ওয়াশ বিতরণ করেছি বাসায় বাসায় গিয়ে। এছাড়াও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।খানপুর কুমুদিনীতে গিয়ে আমরা খাবার বিতরণন করেছি। এই মানুষগুলোকে উঠিয়ে দেওয়া হলো।করোনাকালীন সময় জেলা প্রশাসক,ফতুল্লা থানার ওসি,নারায়ণগঞ্জ থানার ওসি,সোনারগাঁ থানার ওসিকে যখনই কল দিয়েছি তারা তৎপর ভূমিকা পালন করে আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন আমরা এখান থেকে তাদের কতৃজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন,করোনার মহামারর প্রথমে যে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয় তখন প্রায় ৭৫০ জন মানুষে করোনাকালীন টিকার জন্য এখানে নিবন্ধন কার্যক্রম করি গরিব ও দুঃখী মানুষের জন্য।আমাদের মহিলা পরিষদের কার্যক্রম কম হলেও আমরা চেষ্টা করছি নারীদের নির্যাতন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার এবং আমরা সব সময়ই নারীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে লড়ছি।
সাধারণ সম্পাদক হাসিনা পারভিন বলেন,নারায়ণগঞ্জ জেলায় নারীদের নির্যাতন প্রতিরোধে যে কার্যক্রম, এখন তা ধীরগতিতে হচ্ছে এর কারন নারায়ণগঞ্জ জেলায় অনেক ওসি নতুন এসেছে তারা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত নারায়ণগঞ্জ জেলাকেএ গুলিয়ে ফেলছে।তাই করোনাকালে যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছিলো নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তা এখন অনেকাংশে কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে নারী নির্যাতন প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ টি সুপারিশ প্রদান করে নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা পরিষদ।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পিতৃতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন করে নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে।মানবাধিকার সম্পর্কে সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে হবে। নারীর জন্য ক্ষতিকর প্রথা (বালাবিবাহ, যৌতুক, পারিবারিক সহায়তা, বিচার বহির্ভূত সালিশী।কার্যক্রম, বহুবিবাহ বন্ধ করতে হবে।
আইন প্রয়োাগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও বিচারিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত সকলকে নারীবান্ধব ও জেন্ডার সংবেদনশীল করে তুলতে হবে। সিডওগহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলসমূহ প্রশিক্ষণের অন্তর্ভূক্ত করাতে হবে।পরিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ২০১০ এর প্রচার ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।প্রতিষ্ঠান যৌন হয়রানি ও নিপীড়বেধে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে আইন প্রদাহ হবে।
তরুণ সমাজকে পরিকল্পিতভাবে মানবাধিকাবে উদ্বুদ্ধ করে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শুধু সাংস্কৃতিক কার্যক্রম রাহন করতে হবে। , ১৮৭২ এর বারা ১৫৫ (৩) করতে হবে।সিডও সনদের অনুঃ (১) (গ) এর উপর কেস করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে সকল নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে (বিবাহ ও বিব, অভিভাবকত্ব,দত্তকঃ সম্পরির উত্তরাধিকার বিষয়সমূহ)প্রমূখ।