দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আসন্ন নারায়ানগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন্দলে নারায়ানগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির থেকে মেয়র প্রার্থী ৫ প্রার্থী। ইতিমধ্যেই তারা মেয়র পদের মনোনয়ন পত্রও করেছেন সংগ্রহ কিন্তু সকলেই চাচ্ছেন দলীয় প্রতীক ধানের শীষ।এই নিয়েই নিজেদের মধ্যেই শুরু হয়েছে দলীয় কোন্দল।
নাসিক নির্বাচন উপলক্ষ্যে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ানগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকার,নারায়ানগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি মোঃগিয়াস উদ্দিন,নারায়ানগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল,সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান ও কার্যকরী সদস্য এড.সুলতাম মাহমুদ।
বিএনপির এই পাঁচ মেয়র প্রার্থীই চাচ্ছেন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে।দল যদি নির্বাচনে না আসেন তবে স্বতন্ব প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকবেন বলছেন তারা।কিন্তু পাঁচ জনেরই দাবী তাদের নির্বাচন করতে অনুমতি দিয়েছেন দল।
সর্বশেষ সোমবার নাসিক নির্বাচন উপলক্ষ্যে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ানগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.তৈমূর আলম খন্দকার ও কার্যকরী সদস্য এড.সুলতান মাহমুদ।এর আগে গত রবিবার নারায়ানগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন তার পক্ষে লোক দিয়ে মেয়র পদের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।গত ৫ ডিসেম্বর নারায়ানগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান মেয়র মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন।
মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ শেষে এড.তৈমূর আলম বলেন,আমি নারায়ানগঞ্জ জেলায় আমার কর্তব্য ও দায়িত্ব থেকে নির্বাচন করতে এসেছি।মনে করি নারায়ানগঞ্জবাসীর স্বার্থে নারায়ানগঞ্জবাসীর পাশে দাঁড়ানো দরকার আমার।আর দলের অনুরোধক্রমে এবং নারায়ানগঞ্জবাসীর ভালোবাসায় আমি নির্বাচন করবো।কারন মেয়র,এমপির অধিকৃত নারায়ণগঞ্জের জনগন।মেয়র এমপি মুখামুখি অবস্থানে নারায়ণগঞ্জে উন্নয়নে ও নারায়ানগঞ্জবাসীর দাবিদাওয়ায় বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।এই অবস্থায় আমি তৈমূর আলম খন্দকার যদি চুপ থাকি সেটা আমার জন্য পাপ হবে।তাই নারায়ানগঞ্জবাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি নির্বাচন করছি আর আমার মার্কা হবে জনগণের মার্কা, স্লোগান হবে ‘নিজের খাইয়া তৈমূর।
এর আগে রবিবার (১২ ডিসেম্বর)গিয়াস উদ্দিনের পক্ষ থেকে নাসিক মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন সংগ্রহ করেন আকারাম হোসেন খান ও মাজেদুল ইসলাম।
গত ৫ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে এটিএম কামাল বলেন,যেহেতু দলের কোন বাধ্যবাধকতা নাই সেখানে দলের অনেক প্রার্থী নির্বাচন করতে পারে।আমার দলের মহানগরের সিনিয়ররা আছেন তারা কাকে সমর্থন করে সেটাই হচ্ছে বিশাল ব্যাপার।আমার দলের সিনিয়ররা যারা আছেন তাদের সকলেরই সমর্থন চেয়েছি তারা যদি আমায় সমর্থন করেন তাহলে আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো।
এড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন,দলীয়ভাবে নির্বাচনে না আসে তাহলে আমি আমার দলের অনুমতি নিয়ে নারায়ানগঞ্জবাসীর স্বার্থে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করবো।আমি নির্বাচনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকবো।এবং আমি আশাকরি আমার দল এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।যদি দল আমাকে সমর্থন করে তাহলে আমি দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবো।আর যদি অন্য কাউকে সমর্থন দেয় তাহলে আমার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবো।তবে দল যদি কাউকে দলীয় প্রতীক না দেয় তাহলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো।
এড.সুলতান মাহমুদ বলেন,আমি শতভাগ নিশ্চিত দল আমাকে দলীয় প্রতীক দিবে নির্বাচনে।কারন আমি দলের দূর্সময়ে পাশে থেকে কাজ করেছি।আর যদি দল আমাকে সমর্থন না করে তাহলে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো।কারন দল থেকে আমার দেশ বড় আর দেশ থেকে জনগন।জনগনের উন্নয়নের স্বার্থে নারায়ানগঞ্জ জেলাকে সিঙ্গাপুর,আমেরিকার মত গড়ে তুলতে আমি নির্বাচন করছি।আমাদের বন্দরের ওইপাড়ের লোকদের যাতে আর শুনতে না হয় হেপারের লোক।আমাদের মধ্যে বিভেদ শেষ করতে জনগনকে বলবো আমাকে ভোট দেন।প্রয়োজনে আমি শীতলক্ষ্যা নদীতে চার পাঁচটা সেতু করবো।
সবাই চাচ্ছে ধানের শীষ এবং এই পাঁচ জন একই দল থেকে দাঁড়ানোকেই কেন্দ্র করে চলছে শ্বাসরুদ্ধ সভা।কে হচ্ছেন শেষ নাসিকের মেয়র প্রার্থী শেষ হবে এ নিয়েই চলছে চর্চা বিএনপির মধ্যে।সবাই করেছেন দলের জন্য কাজ তাই চাচ্ছেন দলীয় প্রতীকটি দলের সমর্থনে।আর তা না হলে হবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।তবে ইতিমধ্যেই নিজেদের মধ্যেই সৃষ্টি হয়ে গেছে দলীয়ভাবে কোন্দল।যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকে একজন হয়েছেন প্রার্থী সেখানে একই দলের পাঁচ জন এবং একই কমিটির তিন জন সংগ্রহ করেছেন মেয়র পদের মনোনয়ন পত্র।তবে শেষ পর্যন্ত কে থাকছে নাসিক নির্বাচন লড়াইয়ে তা দেখার অপেক্ষায় নারায়ানগঞ্জবাসী।
অন্যদিকে অনেক সিনিয়র নেতারা বিএনপি থেকে ৫ জনের মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করায় অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।এখানে নির্বাচন করার জন্য নয় ক্ষমতা দাপট ও নিজেদের মধ্যে আক্রোশ থাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে মেয়র পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বলে মনে করছে।তবে শেষ পর্যন্ত এক জন বা একাধিক প্রার্থী থাকলেও সুবিধা করতে পারবে না বলেও মনে করছে নেতারা।