দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারী ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের দিন ধার্য্য করা হলেও প্রার্থীদের নিয়ে এখন থেকে শুরু হয়েছে নানা সমিকরণ। এবারের নির্বাচনে ভোটাররা প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নানা দিক বিচার বিশ্লেষন করছেন। তবে সব কিছু মিলে ফলা ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও ২১ দিন।
এ দিকে নাসিক ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ক্ষমতাশীন দলের উত্তর ও দক্ষিন মেরুর বিভাজনের কারনে অনেক ওয়ার্ডেই আসতে পারে নতুন মুখ। তবে সব দিক বিবেচনা করে আলোচনায় রয়েছে কয়েকটি ওয়ার্ড। এ সকল আলোচিত ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে রয়েছে নাসিক ১৩নং ওর্য়াড।
বলা হয় নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির রাজধানী এই ওয়ার্ডটি যেখান থেকেই আলোচিত অনেক নেতাই রাজনৈতিক আশ্রয় নিতেন এই ওয়ার্ডে। শুধু তাই নয় ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সুযোগ সুবিধা ও নাসিকের মডেল হিসেবে বেশ পরিচিতি। তবে সে সুবাদে তেমন একটা উন্নয়নের ছোয়া মিলেনি এই ওয়ার্ডটিতে। যা হয়েছে তা শুধুই ধারাবাহিকতা।
এর প্রধান কারন হিসেবে ধরা হচ্ছে এই ওয়ার্ডে ঘুরে ফিরে আসে একজন কাউন্সিলর। ওয়ার্ডবাসীর কাছে কোন জবাব দিহিতার ধারাবাহিকতা না থাকায় উন্নয়ন থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ১৩নং ওয়ার্ডটি। যার ফলে মাদকের সয়লাব থেকে শুরু করে ওয়ার্ডবাসীর বড় একটি অংশ উছেদের নামে ঘর বাড়ী ছাড়া হয়েছেন কিছু দিন পুর্বেই। আর এই উছেদের কবলে পরা মানুষ গুলো নিধারিত কোন আবাসন না পেয়ে এখন ভাসমান হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করছেন।
এদিকে এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ চলমান ধারায় ৪র্থ বারের মত কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। তবে তিনি বিগত নির্বাচনে মসজিদ, মন্দির, গির্জায় গিয়ে কথা দিয়ে ছিলেন কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আর ভোট চাইতে আসবেন না ভোটারদের কাছে। তার দেয়ে সেই কথা ভুলে গিয়ে পুণরায় নির্বাচনে অংশ গ্রহনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন ভোট চাইতে। আলোচিত এই কাউন্সিলর বিগত দিনে করোনা কালিন সময় করোনায় মৃত: লাশের রাজনীতি নিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়ে ছিলেন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও।
তবে তার এই সিনেমার রাজনৈতিক দেয়াল ভেঙ্গে মুর্হুতের মধ্যে ধুলো বালিতে পরিনত হয়েছে। হয়েছেন করোনা বীর থেকে নারী ধর্ষণ মামলার আসামী। বেশ কিছু দিন কাটিয়েছেন ফেরারী জীবন।
তবে মজার বিষয় হলো করোনা কালিন সময় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটি থেকে প্রশংসা নিজের ঝুলিতে আনতে সক্ষম হলেও দল থেকে পাননি ছিটে ফোটা ধুলবালিও। কারন তৎকালিন সময় নিজের ব্যক্তি কেন্দ্রীক সফলতা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হলেও সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দলের জন্য খাতা রেখে ছিলেন শুন্য স্থানে। যার ফলে দল থেকে প্রশংসার পরির্বতে উল্টো পদ হারিয়েছেন নিজের ভুলে। বাকি রয়েছে নির্বাচনের ফলা ফলের উপর কাউন্সিলর হওয়্।া
শেষ বেলায় সেটাও হারাতে পারে খোরশেদ। কারন মসজিদে ইমানের সাথে দাড়িয়ে শত শত মুসল্লিদের দেয়া ওয়াদা শেষ বলোয় স্বেচ্ছায় ভঙ্গ করেছেন নারী ধর্ষণের অভিযুক্ত খোরশেদ। এখন দেখার বিষয় মোসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান মসজিদে দাড়িয়ে দেয়া কথা রক্ষা না রাখা খোরশেদকে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ১৬ জানুয়ারী কতটুকু সম্মান দিচ্ছেন।