*এই নির্বাচন আশার নয় ২৩ নং ওয়ার্ডবাসীর: মুকুল
*আপনাদের কথা দিচ্ছি হয় আমার লাশ আসবে নতুবা রেজাল্ট আসবে ইনশাল্লাহ: আশা
দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: অবশেষে ঠেলাগাড়ি প্রতীক আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন ২৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কার্যালয় থেকে ঠেলাগাড়ি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর পরই নিজ এলাকা তথা ২৩নং ওয়ার্ডে বিশাল শোডাউন করেছেন তিনি।
এর আগে এ শোডাউনপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আবুল কাউসার আশার পিতা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ অ্যাড. আবুল কালাম।
এসময় তিনি ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের তাগিদে এবং আপনাদের উপর নির্ভর করেই আজ সাহস করে আমার ছেলে আশা কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছে। এখন আপনাদের উচিৎ ওকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যদিও ওর মার্কা ঠেলাগাড়ি। আমি মনেকরি, আসলে আপনারাই হলেন ওর মার্কা, জনগণই ওর মার্কা। এ মার্কার দায়দায়িত্ব এখন আপনাদের সকলের। আপনারা এ ঠেলাগাড়িকে জয়যুক্ত করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি এমপি থাকা অবস্থায় কখনও জনগণকে ধোকা দেইনাই। ইনশাআল্লাহ্ আশাও ধোকা দিবেনা। আমি শারীরিকভাবে তেমন সুস্থ নই। এই ভালো থাকি তো এই খারাপ থাকি। আমি আপনাদের সেবা করার জন্য আশাকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। আপনারা ওকে ভোট দিবেন এবং আপনাদের আত্মীয় স্বজনকেও ভোট দিতে আহ্বান জানাবেন।
বক্তব্য শেষে আশার নেতৃত্বে বের করা হয় এক বিশাল মিছিল। মিছিলটিতে আশাকে সমর্থন জানিয়ে সর্বস্তরের প্রায় হাজার হাজার জনসাধারন স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহন করে। এসময় মিছিলে থাকা হাজার হাজার জনসাধারন আশার পক্ষে স্লোগান দেন ও ভোটও প্রার্থণা করেন। তাদের এ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। যা তাক্ লাগিয়ে দেয় গোটা ২৩নং ওয়ার্ডবাসীকে।
শোডাউন শেষে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, কাউছার নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ছিলো না সে দেশের বাইরে ব্যবসার কাজে গিয়ে ছিলো। কিন্তু আপনারা কাউছারকে সম্মান দিয়ে নির্বাচনে এনেছেন। এখন এই নির্বাচন কাউছারের না এটা ২৩নং ওয়ার্ডের সকলের নির্বাচন।
তাই আগামী ১৬ তারিখে ভোট যুদ্ধে আপনাদের সকলকেই জয়ী হতে হবে ইনশাল্লাহ। আপনারা কাউছারকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন কিভাবে রেজাল্ট আনতে হয় আমি দেখবো ইনশাল্লাহ।
আমরা এদেশে বেসে আসি নাই, পুর্ব পুরুষ থেকে আমরা রাজনীতি করে আসছি। আমার বাবা, চাচা সবাই রাজনীতি করেছে আমার ভাতিজাও রাজনীতি করবে। অতীতেও আমি ছিলাম ভাবিষ্যত্বেও থাকবো আর আমার পাশে আমার ভাতিজাও আছে ইনশাল্লাহ। আপনারা একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত করলে দুইজনকে পাবেন। কাউছারের থেকে আমি আপনাদের কম সার্ভিস দিবো না ইনশাল্লাহ।
আবুল কাউছার আশা বলেন, সুন্দর একটা সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমি নির্বাচনে এসেছি। আপনারা গতবার যেভাবে আমাকে ভোট দিয়ে ছিলেন হয়তোবা ভোট চুরির মাধ্যমে আপনার বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে ছিলো।
এবার আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন আপনাদের কথা দিচ্ছি এটা যদি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করে হয় আমার লাশ আসবে নতুবা রেজাল্ট আসবে ইনশাল্লাহ। আপনারা আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন এটা আমার ঈমানী দায়িত্ব হয়ে গেছে। আপনারা আমাকে ভোট দিবেন আল্লাহর রহমতে ভোট বুঝে আনবো আমি। হয় মরবো নয়তো রেজাল্ট আসবে ইনশাল্লাহ।