দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নগরীতে আবারো বেপারোয়া হয়ে উঠছে পকেটমার ও মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা। সকাল থেকে রাত পযর্ন্ত এই চক্রের সদস্যরা ঘুরে বেড়ায় চাষাড়া রেলষ্ট্যাশন, চাষাড়া থেকে ২নং রেলগেইট পর্যন্ত মার্কেট, বাবুরাইল, কলেজ রোড, নন্দিপাড়া, উকিলপাড়াসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পনার মাধ্যমে।
তবে এই সকল সিন্ডিকেটের সদস্যদের বেপারে আইনী ব্যবস্থা নিতে রয়েছে প্রশাসনের কারপন্যতা। কারন এই সিন্ডিকেটের বিষয় প্রশাসন একটু নজরদারি দিলেই হয়রানী থেকে মুক্তি পাবেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এ সকল চক্রের মুলহোতা রয়েছেন একাধিক ব্যক্তি এদের মধ্যে অন্যতম
উকিলপাড়া রেললাইন এলাকার টেলিকম ব্যবসায়ী রাজন চোরাই মোবাইল ক্রয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা করেছে। আর রাজনের চোরাই মোবাইল চক্রের অন্যতম হোতা হলেন বন্দর চিতাশাল এলাকার এজাজুল হকের ছেলে মোরশেদ।
এছাড়াও তাদেও সহযোগীতায় রয়েছেন, নগরীর নন্দিপাড়া এলাকার হোসেনের ছেলে জামাল, মোহনের দুই ছেলে শামীম ও সাগর, খুরশেদের ছেলে দেলোয়ার ও খোকন, কেটু মিয়ার ছেলে সেলিম, হৃদয় ও বাপ্পা, খালা রহমানের ছেলে মিতু, রহমান সরদারের ছেলে শহীদ ও নূর ইসলাম, আ.হকের ছেলে আরহমানসহ আরো বেশ কয়েকজন দীর্ঘদিন থেকেই চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করছে বলে স্থানীয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোবাইল চোর চক্রের সাথে নারীরাও সম্পৃক্ত রয়েছে। জনবহুল এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকজন নারী সদস্য বোরকা পরিধান করে অত্যন্ত কৌশলে মোবাইল ফোনগুলো ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। চক্রের এক সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত একটি এলাকা রয়েছে। নির্ধারিত এলাকার বাহিরে কাজ করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।
ওই সূত্রটি বলছে, জেলার বাস টার্মিনাল, টানবাজার, ২নং রেল গেইট, করিম মার্কেট ও কালিরবাজার এলাকায় সমন্ময় করে কাজ করছে চাকু আল-আমিন, রাকিব ওরফে বাদশা, জাকির, র্যালি বাগানের সানি, হোসেন, সুমন, সুন্দর আলী, সাথী, বোবা ও ফতে নামের এক নারী। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ চাষাঢ়া এলাকায়ও গড়ে উঠেছে একটি মোবাইল চোর চক্র। অনুসন্ধানে জানা গেছে ওই চক্রটিকে সায়মন বাহীনি হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে।
এছাড়া আদম ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে এ মোরশেদ। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদকদ্রব্য এনে জেলার বিভিন্নস্থানেও ডেলিভারী দেয় এ মোরশেদ।
মোবাইল চোর সিন্ডিকেট চক্রর অন্যতম হোতা মোরশেদকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য জোরদাবী করছেন ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ।
এদিকে প্রতিনিয়তই বীরের ন্যায় পকেটমার ও মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা তাদের হাত ছাফাই করতে সফল হলেও। তাদের আইনের আওতায় আনতে অনেকটাই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন প্রশাসন।
তবে ভুক্তভোগীদের দাবি প্রশাসন একটু সদয় হলেই এসব সিন্ডিকেটের সদস্যদের দৌড়ত্ব অনেকটাই কমবে বলে আশা প্রকাশ করছেন।