দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ আওয়ামী লীগ নেতার দখলে থাকা সরকারি ১০৫ শতাংশ জায়গা উদ্বার করলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি)রুবাইয়া খানম ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজর আলী।
মঙ্গলবার(১৫ জানুয়ারি)সকাল সাড়ে ১০টায় গোগনগর ইউপির গোপচর এলাকা থেকে এ জায়গা উদ্বার করা হয়।
জানা যায়,সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি)রুবাইয়া খানম গোপচর এলাকায় গিয়ে গোগনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ মাস্টার জোর করে সরকারের ১০৫ শতাংশ জায়গা দখল করে একটি কেমিকেল ফ্যাক্টরি ভাড়া দিয়েছেন তা উদ্বার করেন সহকারী কমিশনার।এবং ঘটনাস্থলে থাকা কেমিকেলের বিভিন্ন গাড়ী সেখান থেকে চলে চলে বলে দুই দিনের মধ্যে জায়গা খালি করার নির্দেশ দেন।আগামী বুধবার থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরু করারও ঘোষনা দেন তিনি।
এ বিষয়ে রুবাইয়া খানম সাংবাদিকদের জানান,আজিজ মাস্টার নামে একজন লোক ২০ বছর ধরে এই জায়গা দখল করে ব্যবসা করে আসছিলো।আপনেরা জানেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহন করেছে।এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা জায়গা পাচ্ছি না।তাই আমরা বিভিন্ন সরকারি খাস জমি উদ্বার করছি।দুই দিন আগে আজিজ মাস্টার নিজেই একটা অভিযোগ করেছিলো ডিসি অফিসে এখানের যে স্থানীয় চেয়ারম্যান ফজর আলী ভাই নাকি তার জায়গাটা দখল করার চেষ্টা করছে।উনি যেহেতু সরকারি খাস জায়গা বন্দবস্ত কমিটির একজন সদস্য আর উনি চেয়ারম্যান সেহেতু উনি জানেন কোনটা খাস জায়গা কোনটা কি।উনিই আমাকে খুঁজ দিয়েছেন বলেছেন দেখেন এই জায়গাটা সিএসএতে নদী ছিলো এসএ তে এটা নাম হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন,আজিজ মাস্টার ডিসি অফিসে অভিযোগ করেছে এই জায়গাটা তার নামে হয়েছে চেয়ারম্যান তাকে বিরক্ত করছে।তাই আমি পর্চা খতিয়ান নিয়ে এসেছি।আজিজ মাস্টারের ছেলে আমাদের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।এই এলাকাটা হচ্ছে সিএসএ নদী,এস এ খতিয়ানে সরকার বা জেলা প্রশাসকের নামে আর আর এস রেকর্ড আজিজ মাষ্টারের নামে নাই অন্য আরেকজনের নামে।সে বলেছে ভূলক্রমে তার নামে এই রেকর্ড চলে এসেছে।তার কোন আপত্তি নাই এই জায়গা নিয়ে।আপনেরা মিস কেইস করে এই জায়গা নিয়ে যেতে পারেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ শুরুর বিষয়ে রুবাইয়া খানম বলেন,আজিজ মাষ্টার ক্ষমতার জোরে ২০টা বছর ধরে সরকারি ১০৫ শতাংশ এই জায়গা দখল করে আছে।আর যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়হীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই শতাংশ জায়গার মধ্যে ঘর দিবে তাই আমরা আশ্রয়হীন মানুষদের মাঝেই দুই শতাংশ জায়গায় ঘর করে দিবো যাতে তাদের থাকার জায়গা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলী,ইউপির সদস্য আওলাদ হোসেন,জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার,রফিক হোসেন মেম্বার,নাজির হোসেন ফকির, কাশেম আলী,আবুল কাশেম সম্রাট প্রমূখ।