দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ বন্দরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে প্রেম অতঃপর কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে অপহরণ করে নেওয়ার অভিযোগে প্রেমিক রিফাত(২০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) কিশোরী (১৫)কে বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রেমিক রিফাতসহ তার সহযোগিরা তাকে ফুসলিয়ে অজানা স্থানে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অপহৃতা কিশোরীরর পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে ওই অপহরনকারী প্রেমিক রিফাতসহ ৩জনকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছে কুমিল্লা জেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের রোহান মিয়া,একই জেলার তিতাস থানাধীণ কেসবপুর গ্রামের মনোয়ার ও তার ছেলে রিফাত ।
জানাগেছে,বন্দর ছালেনগর এলাকার মনির হোসেন মিয়ার স্কুল পড়–য়া কিশোরী(১৫) মেয়ের সাথে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানাধীণ কেসবপুর গ্রামের মনোয়ার মিয়ার ছেলে রিফাতের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় একাধিকবার সূদুর কুমিল্লা থেকে প্রেমের টানে রিফাত তার প্রেমিকা ওই কিশোরী ও সাথে দেখা করতে বন্দর চলে আসত। এমনই ভাবে বেশকিছুদিন যাবৎ তাদের প্রেমের আদান প্রদান চলে আসছিল।
পরে ওই কিশোরীর মা বিষয়টি আচ করতে পেরে রিফাতকে মোবাইল ফোনে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করে। এরইধারাবাহিকতায় গত গত ১৯ ফ্রেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় ওই কিশোরী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হলে বন্দর বিএম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রেমিক রিফাত তার পিতা মনোয়ার ও ভগ্নিপতি রোহানের সহযোগিতায় জোরপূর্বক সিএনজিযোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। রাত ১০টার সময় ওই কিশোরীর মা রাবেয়া আক্তারকে প্রেমিক রিফাত মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই কিশোরীর পিতা মনির হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগ করার ১ঘন্টার মধ্যেই সিদ্দিরগঞ্জ থানা থেকে ওই কিশোরীর পিতা মনির হোসেনের কাছে একটা ফোন আসে। কিশোরী ও অপহরণকারী প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। পরে অপহরনের অভিযোগের তদন্তকারীকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই আবুল বাশার রবিবার সকাল ১১টায় সিদ্দিরগঞ্জ থানা থেকে ওই কিশোর কে উদ্ধার ও অপহরণকারী প্রেমিক রিফাতকে আটক করে বন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়।
আগামী সোমবার ওই কিশোরীকে ২২ধারায় ও অপহরনকারী প্রেমিক রিফাতকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে প্রেরন করা হবে বলে থানা সুত্রে জানা যায়।