দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরে প্রতিটি ওয়ার্ডে রাস্তার উপর থেকে অবৈধ ড্রেজার পাইপ এর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও রহস্য জনক কারনে ১৯ নং ওয়ার্ডে অভিযান চালাছেনা নাসিক।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো: শাহাদাত হোসেনের বাড়ি ১৯ নং ওয়ার্ড এলাকায় বলে এ এলাকায় অবৈধ ড্রেজার পাইপ এর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় না বলে ধারনা করচ্ছেন সচেতন মহল। মদনগঞ্জ ১৯নং ওয়ার্ডের ওয়েলফেয়ার ক্লাব সংলগ্ন এম এম গুশাল রোড ও শান্তিনগড় এলাকার সড়কে নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ভাবে রাস্তার উপরে ড্রেজার মেশিনের পাইপ দিয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন বালু ব্যবসায়ীরা।
এ কারনে সড়কে চলাচল করা যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে। রাস্তার উপরে পাইপে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দিয়ে পাইপ বসালেও নেয়া হয়নি কোন অনুমোদন। ফলে অটোরিক্সা, রিক্সাসহ যানবাহন চলাচলেও বিঘœ ঘটছে। আবার পাইপ লিকেজ এর কারণে বালু পানি মানুষের উপর পড়ে নষ্ট হচ্ছে জামাকাপড়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকলেছুর রহমান চৌধরীর লোকেরা এই বালুর ব্যবসা চলিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতলক্ষা নদী থেকে এই ড্রেজারের পাইপ মদনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় আনা হয়েছে। এতে করে এই সড়কটি সরু ও জনদুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। সাধারণ মানুষ চলাচলে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়েছে স্কুলে যাওয়া আসা শিক্ষার্থীদের।
এসব নিয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা অনেকে। আবার কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও লাভ হচ্ছে না কারন এরা ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকলেছুর রহমান চৌধরীর লোক। এব্যাপারে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকলেছুর রহমান চৌধরীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত অছে বলে ফোন রেখে দেন।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিসের সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো: শাহাদাত হোসেনের বলেন, রাস্তার উপর ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ অভিযান চলমনা রয়েছে পর্যায়ক্রমে সকল এলাকার অবৈধ ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করে তা জব্দ করা হবে।