দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ঈদ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ঘর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর অধীনে ৩ পর্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জমি ও গৃহ হস্তান্তর করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় গনভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলিল ও ঘরের চাবি সুবিধাভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঈদ উপলক্ষে সারাদেশে একযুগে ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার দেন। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫ টি উপজেলা থেকে ১৭০ জন গৃহহীন পরিবারকে দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের মিলনায়তন থেকে সরাসরি ভিডি কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হোন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক সার্কেল) নাজমুল হাসান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন,সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিদ্বিরগঞ্জ কোহিনুর রহমান,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন,আমাদের জাতির জনক যে স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি স্বাধীন দেশের একটি জাতীয় পত্রিকা ও একটি মানচিত্র। সেখানে কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। কোন মানুষই না। আপনেরা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন হয়ে থাকবে না। প্রতিটি মানুষের নিজের পাকা ঘর,টয়লেট থাকবে। আগামী ৪১ সালের মধ্যে এই দেশে কেউ গৃহহীন হয়ে থাকবে না,কেউ রাস্তায় থাকবে না এবং কে নিরক্ষর থাকবে না। তারই প্রমান দেখছেন আপনেরা যে দিকে তাকাচ্ছেন সেদিকেই উন্নয়ন দেখছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেট্রোরেল বাংলাদেশে হচ্ছে।
ডিসি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই আজকে এমন একটি চমৎকার অনুষ্ঠানের জন্য অতীতে আমরা ঈদে জামা,টাকা যাকাত দিয়েছি কিন্তু আস্থ একটা দালান সহ জমি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া বিরল দৃষ্টান্ত। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গরিবদের বুঝেন। তার জন্য আমরা দিন নাই রাত নাই গরীব তাদের জন্য কাজ করছি। আজকে আমরা গৃহহীন ১৭০টি পরিবারকে ঘরের চাবি তুলে দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই আমরা ২০০ থেকে ২৫০ ঘর আমরা মানুষের মাঝে তুলে দিতে পারবো। আজকে আমাদের অনেক আনন্দের দিন। আপনেরা যারা ঘর পেয়েছেন আমরা আপনাদের বাসায় বেড়াতে যাবো। আর আপনেরা আপনাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন। আপনেরা আর গরীব না। আপনেরা দুই শতাংশ জমির মালিক হয়েছেন। এই দুই শতাংশ জায়গায় বিল্ডিং হয়ে যায়। আজকে থেকে আপনাদের গৃহ আছে। আপনেরা মাদক,জঙ্গি,সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকবেন। আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন এবং সমাজের সুনামধন্য ব্যক্তি হতে পারে সে চেষ্টা করবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তরের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ পাঁচ উপজেলায় মোট ১৭০টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ৩৫টি ঘর হস্তান্তরের জন্য ৩৫ জন ভূমিহীনের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি ঘরের চাবিসহ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২০টি ঘর পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া রূপগঞ্জে ৪৯টি, সোনারগাঁয়ে ৩৫টি, আড়াইহাজারে ৫০টি এবং বন্দরে ২১টি ঘরের চাবিসহ জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। ৮৬ শতাংশ সরকারি খাস জমির অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রিফাত ফেরদৌস বলেন , বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু সংগ্রাম এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তারই সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশে অসহায়, দুঃখী , বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, তৃতীয় লীঙ্গ, বাস্তুুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আনয়নে জমি, বিদ্যুত ও পানির সংযোগসহ ঘর উপহার দিয়েছেন। যা এদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।
সহকারি কমিশনার সদর (ভূমি)আমেনা মারজান সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার ফতুল্লা ( ভূমি) ফতুল্লা আবু বক্কর,নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির,বক্তাবলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলী,গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী,কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু প্রমূখ।