দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটিকে ৫০/৭০ সদস্য করার তাগিদ থাকলেও, কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি হওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। তবে বিভিন্ন মহল থেকে কমিটি বানিজ্যর অভিযোগ রয়েছে মহানগর যুবদলের কমিটির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ৫ সদস্য মহানগর যুবদলের কমিটির নেতাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধের দাগ দেখা গেলেও, সেই বিষয় তোয়াক্কা করছেন না সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল।
সকলকে পাশ কাটিয়ে নেতার দেয়া প্রেসক্রিপশনের উপর ভিত্তি করে নিজের মনগড়া কমিটি সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। তার এই একপেশী সিদ্ধান্তের কারনে কমিটিতে থাকা নেতাদের মধ্যে বিভক্তির দাগ দেখা দিয়েছে বলে দাবি করেন মহানগর যুবদলের নেতারা।
মহানগর যুবদলের নেতারা আরও বলেন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বাকি ৪ নেতাকে তোয়াক্কা না করেই নিজের মনগড়া কমিটি সাজাঁতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার ফল শ্রুতিতে মহানগর যুবদলের নেতাদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে বন্দরের ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেকে নেতাদের রাখার চেষ্টা করছেন। সেই সাথে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার রয়েছে একাধিক নাম।
এরফলে মহানগর যুবদলের কমিটিতে স্থান পাচ্ছে বন্দর উপজেলার ঝাউতলা এলাকার পারভেজ খান, মুছাপুর ইউনিয়নের লাঙ্গলবন্ধ এলাকার হারুনুর রশিদ লিটন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সায়েদ উল্লাহ মুকুল, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নুর ইলাহী সোহাগ সহ আরও অনেকেই।
সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী মহানগরের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ডের নেতাদের দিয়ে মহানগর যুবদলের কমিটি সাজানোর কথা। যেখানে রয়েছে পদবঞ্চিত শতশত নেতা ও কর্মী। তাদের বাদ দিয়ে জেলার আওতাধীন নেতা ও কর্মীদের মহানগর কমিটিতে রাখলে। সাংগঠনিক ভাবে কতটা শক্তিশালী হবে সেটা এখন দেখার বিষয়। তবে সংগঠনের উপকার না হলেও, দিন শেষে মনিরুল ইসলাম সজলের নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন হবে সেটাই তার কাছে বড় বিষয়।
তারা আরও বলেন, নজরুল ইসলাম আজাদের প্রেসক্রিপশনে সজল মহানগর কমিটি সাজাঁতে চাইছে। এর ফলে মহানগর যুবদলের কমিটিতে বিভক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে।
আর এতে করে যুবদল সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেয়ে বিভাজন সৃষ্টি হবে সবচেয়ে বেশি। যা দলের জন্য কখনোই মঙ্গলজনক অবস্থা বয়ে আনবেনা। তাই আমরা ধারণা করছি আজাদ ও সজলের প্রেসক্রিপশনে মহানগর যুবদলের কমিটি হলে নারায়ণগঞ্জে মহানগর যুবদলের রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তুকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, যাদের বিষয়ে প্রশ্ন করেছেন তারা দীর্ঘদিন মহানগর যুবদলের কমিটিতে সম্মানজনক পদে থেকে বহুদিন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। যদিও সিটি কর্পোরেশনের এলাকা সীমানা নির্ধারন হওয়ায় তারা ইউনিয়ন পর্যায় পড়ে গেছে। যেহেতু তারা মহানগরের রাজনীতির সাথে রাজনীতি করেছে এখন তারা জেলার সাথে রাজনীতি করতে চায় না। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, আমাদের দলের সাংগঠনিক কিছু নিয়মনীতি আছে এর বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। যারা জেলার আওতাধীন হয়ে মহানগরের রাজনীতি করতে চায় এটা তাদের ব্যক্তিগত মতামত। তাদের জন্য ইউনিয়ন যুবদলের রাজনীতি বসে থাকবে না। তবে সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে আমি কিছুই করবো না। কে থাকবে কে থাকবে না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।
আমি যেহেতু যুবদলের রাজনীতি করি, আমি জানি আমার সংগঠন শক্তিশালী সেখানে অন্য কেউ এসে মাতব্বরী করুক সেটা আমি চাই না।