দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে প্রেরণে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছে মহানগর বিএনপি।
বুধবার (১৫ জুন) এক বিবৃতিত্বে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. জাকির হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিত্বে তারা আরও বলেন, রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে বাধা সৃষ্টি করার জন্য সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ দেখেছে আবুল কাউছার আশাকে যে মামলায় ফাসানো হচ্ছে সেটার প্রকৃত দোষী করা। তবুও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আবুল কাউছার আশাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তার অপরাধ সে মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংসদ মরহুম জালাল হাজী ও মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের ছেলে আবুল কাউছার আশা। সেই সাথে নাসিক ২৩ নং ওয়াওর্ডর নির্বাচিত কাউন্সিলর। তার দলীয় অবস্থান ও সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যেন সরকার পতন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করতে না পারে। সেই জন্য মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আপোষ করে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেই সাথে করোনাবীর খ্যাত যিনি বিভিন্ন দেশ থেকে করোনা কালিন সময় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে আরেকটি মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আলোচিত এই দুই কাউন্সিলরকে কারাগারে প্রেরণ করে তাদের নির্বাচিত ওয়ার্ডবাসীদের সেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেই সাথে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া রাজপথের দুই সৈনিককে সরকার পতন আন্দোলনে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য এই ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে অনতি বিলম্বে তাদের নিঃশর্তে মুক্তিদাবী করছি।
বিবৃতিত্বে একাত্ততা প্রকাশ করেন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, ফখরুল ইসলাম মজনু, নুরুউদ্দির হাজী, মনিরুজ্জামান মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, আওলাদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।