দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত দৌলত মেম্বারকে হত্যা ও চান বাদশা গুরুতর আহতের ঘটনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসী। এসময় ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকালে ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন চর সৈয়দপুরবাসীর আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত দৌলত মেম্বারে স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে এখনো কোনো আসামি ধরা পড়ে নাই! আমার স্বামী কি অপরাধ করেছিল। যে এ ভাবে তাকে হত্যা করতে হবে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করতেও এসেছিল তারা। আমার স্বামীর হত্যাকান্ডে ঘটনায় এত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো কিন্তু প্রশাসনের কোন ভূমিকা পেলাম না। নারায়ণগঞ্জ জেলা এসপি মহোদয়কে বলবো আপনার বিদায়ের বেলা শেষে ভালো একটি কাজ করে যান।
নিহতের বড় মেয়ে বলেন, চেয়ারম্যান ফজর আলীর বাহিনীর দ্বারা নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হন দৌলত মেম্বার । আমার বাবা নিরপরাধ ছিল। আমাদের জায়গায় জমি অন্য মানুষ খাচ্ছে। তার পরেও আমার বাবা কোন ঝগড়ায় যায় না। বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি।
দৌলত মেম্বারে মেয়ে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকী দিচ্ছে মামলা তুলেনিতে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিও বাবা হারা সন্তান! আপনি বোঝেন বাবা হারা এতিম সন্তানদের কতটা কষ্টদায়ক বেদনা। তাই আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মানববন্ধনে চর সৈয়দপুরবাসী বলেন, দৌলত হোসেন মেম্বার ভালো লোক ছিলেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত দৌলত ভাইয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আসামীদের ফাসীর দাবী যানাই। আজ আমরা এলাকাতে থাকতে পাড়িনা সন্ত্রাসীদের ভয়ে। তাই খুনি রুবেল মেম্বার সহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে চর সৈয়দপুর এলাকায় মিছিল বের করা হলে মিছিলে মধ্যে গোগনগর (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজর আলীর’চেয়ারম্যানী প্রত্যাহার দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আবুল মেম্বার, জালাল মাদবর, মোশারফ মেম্বার, আজিজ মাস্টার, বিল্লাল মাদবর, আমজাদ মাদবর, খলিল মাদবর, রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও গোগনগর, সৈয়দপুর ও চর সৈয়দপুরের শিশু, বৃদ্ধা পুরুষ ও মহিলা সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত গত সোমবার (২৬ জুন ) রাত দশটায় গোগনগর ব্রিজের সামনে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীর দ্বারা গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য দৌলত হোসেনকে মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।