দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত দৌলত মেম্বার হত্যা মামলার আসামীদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় আতংকে দিন কাটাচ্ছে পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবী মামলায় নিরীহ ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও বাকী আসামীদের গ্রেফতার না করায় সেটাকে আইওয়াস হিসেবেই দেখছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবী এ হত্যাকান্ডের অন্যতম মুলহোতা হিসেবে ঘটনায় জড়িত চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিচ্ছু বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।
গত ২৬ জুন রাত পৌনে ১১টায় গোগনগর ব্রীজের সামনে রুবেল মেম্বাররা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
হত্যাকান্ডে আসামীদেরকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার (৫ জুলাই) বিকালে ক্রাউন সিমেন্ট ফ্যাক্টরি সংলগ্ন চর সৈয়দপুরবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসুচিও পালন করেন স্থানীয়রা।
নিহত দৌলত মেম্বারে স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে এখনো কোনো আসামি ধরা পড়ে নাই! আমার স্বামী কি অপরাধ করেছিল। যে এ ভাবে তাকে হত্যা করতে হবে। আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করতেও এসেছিল তারা।
আমার স্বামীর হত্যাকান্ডে ঘটনায় এত দিন অতিবাহিত হয়ে গেলো কিন্তু প্রশাসনের কোন ভূমিকা পেলাম না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা এসপি মহোদয়কে বলবো আপনার বিদায়ের বেলা শেষে ভালো একটি কাজ করে যান।
নিহতের বড় মেয়ে বলেন, চেয়ারম্যান ফজর আলীর বাহিনীর দ্বারা নিঃসংশ ভাবে হত্যার শিকার হন দৌলত মেম্বার । আমার বাবা নিরপরাধ ছিল। আমাদের জায়গায় জমি অন্য মানুষ খাচ্ছে। তার পরেও আমার বাবা কোন ঝগড়ায় যায় না। বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সকলকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি।
দৌলত মেম্বারে মেয়ে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা আমাদের হুমকী দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনিও বাবা হারা সন্তান! আপনি বোঝেন বাবা হারা এতিম সন্তানদের কতটা কষ্টদায়ক বেদনা। তাই আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
চর সৈয়দপুরবাসীদের অভিমত, দৌলত হোসেন মেম্বার ভালো লোক ছিলেন। সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত দৌলত ভাইয়ে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আসামীদের ফাসীর দাবী যানাই। আজ আমরা এলাকাতে থাকতে পাড়িনা সন্ত্রাসীদের ভয়ে। তাই খুনি রুবেল মেম্বার সহ সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে হত্যাকান্ডের প্রায় ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও মামলার মুল আসামীদের গ্রেফতার না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় অনেকেই বলেন, মামলার আসামীরা অর্থশালী ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের টাকার কাছে নতি স্বীকার করে থানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত বাকী আসামীদেরকে গ্রেফতার করছেনা। আসামী পক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করছে। যার ফলে অনেকটাই নিরাপত্তাহীনতার মাঝেই দিন কাটাচ্ছে নিহতের পরিবারের সদস্যরা।