নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান দলের অনেকেই যাকে হাই ব্রিড নেতা হিসেবে চিনেন। আলোচনা ও সমালোনা নিয়ে প্রায় সময় যিনি থাকেন স্থানীয় মিডিয়াতে।
বিগত সিটি নির্বাচনে দলের সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হওয়ার পর ক্ষমতাশীনদের সাথে তার আতাঁতের কর্মকান্ডের বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠে স্থানীয় গণমাধ্যম গুলোতে।
অপরদিকে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা যাকে নবগঠিত এই কমিটি ঘোষণা করার পরে একবারও দেখা মিলেনি সংগঠনটির সাংগঠনিক কর্মকান্ডে।
ইতিমধ্যেই স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়াতে তার নামের পিছনে তকমা লেগেছে মাদক ব্যবসাীয় ডন হিসেবে। বেশীর ভাগ সময়ই যিনি থাকেন পর্দার অন্তরালে।
এদিকে লক্ষ্য করে দেখা যায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করার পর থেকে মুল দল বা তাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বা কর্মসূচিতে সাবেক সাংসদ পুত্র ও সংগঠনের সভাপতি আবুল কাউছার আশার সাথে তার রয়েছে বিশেষ দুরত্ব।
আংশিক কমিটি ঘোষণা করার পর পরই দুই সাখাওয়াত নিজেদেরকে বিভেদের কাতারে রেখে করেছেন প্রায় শুরু থেকেই। আর কমিটিতে থাকা অধিকাংশ নেতারাই রয়েছেন সভাপতি আবুল কাউছার আশার নেতৃত্বে।
এদিকে, ঠিক একই কায়দায় মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করার কিছু দিন পর থেকেই এ্যাড সাখাওয়াত জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানে সমর্থিত গুটি কয়েক নেতার কাধে ভর করে পৃথক ভাবে করে যাচ্ছেন দলীয় কর্মসূচি গুলো। যদিও তার ছত্র ছায়ায় নেই বিএনপির কমিটিতে থাকা উল্লেখযোগ্য তেমন কোন নেতা।
এ বিষয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েক জনের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন বিগত সিটি নির্বাচনে দলের সমর্থন পেয়ে মেয়র নির্বাচন করতে গিয়ে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে যতটা লাভবান হয়ে ছিলেন।
এবার নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনে সাংসদ নির্বাচনে দলের সমর্থন নিয়ে ঠিক তার অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু তার সেই আশায় ছাই ছাড়া আর কিছুই জুটবে না। কারণ নারায়ণগঞ্জের ৫ আসনের ভোটারদের জন্য মরহুম জালাল হাজী ও তার পুত্র এ্যাড. আবুল কালাম যে অবদান রেখে গেছেন। তার কিঞ্চিত পরিমান করতে পারবে না সাখাওয়াত। এছাড়াও বিগত সিটি নির্বাচনে দলের সাথে বেঈমানী করেছেন তা সকলেরই জানা।
তারা আরও বলেন, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম এর সাথে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরাই আছেন এবং ভবিষ্যত্বেও থাকবেন। তার ক্লিন ইমেজের কাছে সাখাওয়াত সব সময়ই ধরাশাই হয়েছেন এবং ভবিষ্যত্বেও হবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।
অপরদিরেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা যাকে এখন মাদক ব্যবসায়ীদের আন্ডারগ্রাউন ডন বলেই চলে। এই সকল নেতাদের দিয়ে আর যাই হউক ক্লিন ইমেজের নেতাদের সাথে রাজনীতি করা চলে না। তার প্রয়োজন ছিলো রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপুর্ন পদ সেটা সে হাসিল করেছে। হয়তোবা সেটা তার ব্যবসার জন্য বিশেষ সহযোগীতা হবে, আর সেটাও মনে হয় হচ্ছে। এখন দলীয় কর্মসূচিতে থাকলেই কি আর না থাকলেই কি?
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী ২৩ সদস্য বিশিষ্ট নারাযণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। শুরুতে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন মূলদলের সাথে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসলেও।
সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁতের বিষয় স্থানীয় মিডিয়াতে পরিষ্কার হওয়ার পর পরই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন মূল দলের রাজনীতি থেকে। এরপর থেকেই তার সহ-সভাপতি পদ ব্যবহার করে আলাদা ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে আসছেন এর পর থেকেই। যদিও তা অন্যের কাধে ভর করে।
অপরদিকে, র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেবিট এর ভাগিনা সাখাওয়াত রানা। ব্যক্তিগত ভাবে দলের জন্য তার কোন অবদান না থাকলেও মহানগরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটিতে রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদে। কমিটি আসার পর থেকে তিনিও এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে কয়েকবার। তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তাকে দেখা যায়নি।