দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকমঃ কে হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অভিভাবক ? নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বিষয়টি বেশ ঘুরপাক খাচ্ছে। মহানগর বিএনপির কমিটিতে গুরুত্বপুর্ন পদে আসতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে জোড় লবিং এরও কোন কমতি নেই অনেক নেতাদের। তবে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সব আশায় ছাই ঢেলে দেয়ার মত কেন্দ্রীয় নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্যে পরিষ্কার সহসা হচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি।
লক্ষ্য করে দেখা যায়, বেশ কিছু দিন যাবৎ অসুস্থতার কারনে মহানগর বিএনপির দলীয় কর্মসূচি গুলোতে এ্যাড. আবুল কালাম উপস্থিত না থাকলেও এখনও তার উপর আস্থা রেখে চলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তবে তার অনুপস্থিতির কারনে অনেক নেতাই বুকে স্বপ্ন বেধেছেন অচিরেই মহানগর বিএনপি কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটির ঘোষনা দিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। যারফল শ্রুতিতে অনেক নেতাই গুরুত্বপুর্ন পদ পদবির আশায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে জোড় লবিংএ ব্যস্তহয়ে পরেছেন।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে এ্যাড. আবুল কালাম মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সাথে। স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারনে এ্যাড. আবুল কালাম দলীয় কর্মসূচি গুলোতে অংশ গ্রহন করতে না পারলেও তার নির্দেশ মোতাবেক মহানগর বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন নিষ্ঠার সাথে।
অপরদিকে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নিজের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী করতে আলাদা ভাবে দলীয় কর্মসূচি থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় দিক নির্দেশনা মোতাবেক।
এদিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আংশিক কমিটি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। যেখানে সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামকে সভাপতি ও এটিএম কামালকে সাধারণ সম্পাদক দিয়ে একটি আংশিক মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষনা করা হয়।
অপরদিকে কাজী মনিরকে সভাপতি ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক পদে রেখে জেলা বিএনপির আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। সেই সাথে ৩ মাস সময় বেধে দেন আংশিক কমিটিকে পুর্নাঙ্গ রুপ দেয়ার জন্য। কেন্দ্রীয় নিদের্শ মোতাবেক সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলেও। পুর্নাঙ্গ কমিটি বাস্তবায়নে রুপ দিতে ব্যার্থতায় পর্যবশিত হয় জেলা।
এর কিছু দিন পর নানা অভিযোগে জেলা কমিটি ভেঙ্গে দেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ততদিন কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি গুলো সাংগঠনিক নিয়মানুশারে পালন করে যাচ্ছিল মহানগর বিএনপি। এদিকে সাংগঠনিক ভাবে জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ্যাড. তৈমূর আলমকে আহবায়ক ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সকল আশায় ছাই দিয়ে দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার ক্ষমতাশীনদের প্রেসক্রিপশনে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ গ্রহন করেন। আর তাকে সহযোগীতা করেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটি এম কামাল। আর এই অপরাধে দুই নেতাকেই দল থেকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
মহানগর বিএনপি কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে আমরা এখন ভাবছি না। কারন ঢাকা বিভাগের নরসিংদি, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর সহ অনেক জেলা আছে যেগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করবো। এর পরে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে ভাববো। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়ে এখন আমরা চিন্তাও করসি না। যদিও অনেকেই ভাবছে আমরা কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি দিয়ে দিবো।তবে এই বিষয়টা সম্পুর্ন্য মিথ্যা। মহানগর কমিটি ভেঙ্গ নতুন কমিটি দিতে অনেক সময় লাগবে।