দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা ও শহর যুবলীগের কমিটির বয়স দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগের সীমানা ছুঁই ছুই অবস্থা হওয়ায় অনেকটাই বয়সের ভাড়ে নুয়ে পরেছে সাংগঠনিক কর্মকান্ড। এর মধ্যে জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদে থাকা নেতারা যৌবন থেকে বার্ধক্যে পরিণত হয়ে ঠাঁই নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপুর্ন পদে। যার ফলশ্রুতিতে অভিভাবকহীন হয়ে পড়া এই সংগঠনটির কার্যক্রম এখন শুন্যের কোঠায়।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের কমিটির গুরুত্বপুর্ন পদে থাকা নেতারা কচ্ছপ গতিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে নিলেও, সেখানে দাগ কেটেছে দুই মেরুর রাজনীতি। শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া সাংসদ শামীম পন্থী হওয়ায় চলছেন উত্তর মেরুর রাজনৈতিক সমীকরন নিয়ে।
আর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জল মেয়র আইভীর ভাই হওয়ার সুবাদে চলছেন দক্ষিন মেরুর রাজনৈতিক সমীকরন নিয়ে। এর ফলে শহর যুবলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ড এখন এক প্রকার কগজে কলমেই সীমাবদ্ধ।
তবে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি গুলো দ্বায় ছাড়া ভাব নিয়ে পৃথক ভাবে শহর যুবলীগের দুই মেরুর নেতা পালন করে আসলেও, সেখানে শুন্যের কোঠায় জেলা যুবলীগের অবস্থা।
এদিকে, সাংগঠনিক যোগ্যতা ও রাজনৈতিক মেধা থাকার পরও অনেক নেতাই যুবলীগের কমিটি দেই দিচ্ছির ধু¤্রজালে আবদ্ধ হয়ে পদ পদবি ছাড়াই করছেন সংগঠন বিহীন রাজনীতি। তবুও অদৃশ্য কোন শক্তির ক্ষমতা বলে এখনও দেখা মিলছে না নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটির এমনটাই ধারণা যুবলীগের তৃণমূল নেতাদের।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে আবদুল কাদির সভাপতি ও এ্যাড. আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর দীর্ঘ ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এরপর আর নতুন কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি জেলা যুবলীগের। বর্তমান জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আর এ্যাড. আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল এখন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন তাও অনেক বছর। এর ফলে জেলা যুবলীগ এখন কাগজে কলমে থাকলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে অস্থিত্বহীন হয়ে পরেছে।
সেই সাথে জেলা যুবলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা থানা কমিটিগুলোতেও করুন অবস্থা চলছে। সেখানে থানা ও ইউনিয়ন যুবলীগের পদে থাকা অধিকাংশ নেতাই এখন মুলদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত।
তবে শহর যুবলীগের কমিটির ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্র মহলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই চোখে পরার মত। ২০০৫ সালে শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনুকে সভাপতি ও আলী রেজা উজ্জ্বলকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল শহর যুবলীগের কমিটি। শহর যুবলীগ ১৭ বছর অতিক্রম করলেও গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে নতুন মোড়কেই আসছে পুরনো নেতৃত্ব। এখন শহর কমিটি ভেঙ্গে মহানগর করা হলেও সেখানে সভাপতি পদ ছাড়তে নারাজ শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু। আর শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা উজ্জ্বল মহানগর কমিটিতেও চাইছেন আগের স্থান।
এদিকে দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ক্ষোভ। অনেকেই হয়ে পড়েছেন নিষ্কৃয়। তবে সব কিছুর পরও এখনও আশায় বুক বেধেছেন নতুন নেতৃত্ব নিয়ে গঠিত হবে জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি। তবে সেটা কবে কখন কিভাবে হবে সেটা এখনও অনিশ্চিত।