দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সামনে একটি কঠিন সময় আসছে। ওরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায়। ওরা এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারছে না। ওরা ঠিক আছে কিন্তু আমরা বিভক্ত।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে ধানমন্ডিতে বাবা-মায়ের বাড়িতে শেখ হাসিনাকে ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। তিনি চেয়েছিলেন দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে, সেটাও দেয়নি। রাস্তায় নেমে কাঁদতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। আগে অনেকদিন পর পর একজন মীরজাফর আসতো। এখন ক্ষণে ক্ষণে মীরজাফর আর খন্দকার মোশতাকেরা জন্ম নেয় বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বিশ্বের অবস্থা টালমাটাল। এখন আমাদের মিটিং করার কথা নয়। কিন্তু যখন দেখলাম ঢাকায় মিছিল হচ্ছে পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার; মানে যেভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করেছে সেভাবেই শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে হত্যা করতে চায়। বাঙালি জাতির দিশারিকে নিশ্চিহ্ন করতে চায়। কিছু সুশীল আতেল বক্তব্য দিচ্ছেন রাজপথ দখলে নিতে হবে। শেখ হাসিনার সঙ্গে নাকি কেউ নেই। তাই আজ সমাবেশ। আজ দেখেন রাজপথ শেখ হাসিনার দখলে।
শামীম ওসমান বলেন, দেশে সরকার পরিবর্তনের খেলা হচ্ছে না। সরকার তো পরিবর্তন হতেই পারে। জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় থাকবো না। কিন্তু এখন সরকার না বরং দেশকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন টিভিপর্দায় দেখি- ফখরুল ইসলামরা খিলখিলিয়ে হেসে বলেন, সামনে নাকি আওয়ামী লীগ সর্ষে ফুল দেখবে। বলে বাংলাদেশ নাকি শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বাংলাদেশ যদি শ্রীলঙ্কা হয় তাহলে আপনারা খুশি হবেন কেন? দায়িত্বশীল হলে বলেন, কোথায় ভুল হচ্ছে, কী করা যায়। আপনারা এত খুশি কেন?
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দনশীলের সভাপতিত্বে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান স্মৃতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।