দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বিভেদের মহানায়ক এবং দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার আবারো মিশনে নেমেছেন দলকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করার লক্ষ্যে। শুধু তাই নয় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাশীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে তার সাথে হাত মিলিয়ে একই সুরে কথা বলছেন সুবিধাবাদীদের তালিকায় থাকা আতাউর রহমান মুকুল। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে এবার কথা বলতে শুরু করেছেন দলের নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, ক্ষমতাশীনদের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপিতে যোগদান করে আঙ্গুল ফলো কলাগাছে রুপান্তরিত হলেও, পুর্বের রাজনৈতিক গুরুদের হাতের ছায়া সব সময়ই ছিলো তার মাথার উপরে। ক্ষমতাশীন দলের গুরুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিএনপির রাজনীতিতে যোগদান করেই নিজের বলয় তৈরি করে ভাইপুষ্ট রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন সফলতার সহিত।
এরপর থেকে ধারাবাহিকতার সহিত নারায়ণগঞ্জের সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামের বলয়কে দুর্বল চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বন্দরে নিজের আর্শিবাদপুষ্ট হাজী নুরুউদ্দিনকে কর্মী সমর্থন বাড়িয়ে শক্তিশালী করে তুলেছেন।
অপরদিকে, রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজ খ্যাত এ্যাড. আবুল কালাম বন্দরের দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান মুকুলকে। এ যেন খাল কেটে কুমির আনার সামিল। ক্ষমার লোভে পরে মুকুল নিজের মত করে কর্মী বাহিনী তৈরি করে সেও অঘোষিত ভাবে সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালামকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে শুরু করেন। বন্দরে এ্যাড. আবুল কালাম দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে প্রিয় মানুষ হওয়ায়। তাকে দুর্বল করতেই মুকুল ক্ষমতাশীনদের আর্শিবাদপুষ্ট হয়ে কচ্ছপগতিতে এ্যাড. কালামের জনসমর্থনকে দুর্বল করতে থাকেন। যখন যেভাবে সুযোগ পেয়েছেন মুকুল তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। আর এর ধারাবাহিকতা এখনও চলমান।
বিষয়টি এ্যাড. আবুল কালাম টের পেলেও সব ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়ে দলের জন্য কাজ করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, সদ্য ঘোষিত মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই বহিষ্কার হওয়া এ্যাড. তৈমূর ও আতাউর রহমান মুকুল এক ঘাটে পানি খেতে শুরু করেছেন। সুকৌশলী এই দুই নেতার পাল্লায় পরে কালাম সমর্থিত প্রায় ১৩ নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছেন। যদিও সেটা মিডিয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কারন এখন পর্যন্ত কোন নেতাই তার পদত্যাগের চিঠি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে জমা দেননি। তবে যাই হউক সুকৌশলী তৈমূর ও মুকুল অনেকটাই সফলতার দারপ্রান্তে। কারন তারা কর্মীদের সামনে কমিটি বিরোধী কথা বললেও মুল এজেন্ডা কিন্তু জাতীয় নির্বাচন।
সুকৌশলী এই দুই নেতা ক্ষমতাশীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য লোক দেখানো কমিটি বিরোধী কথা বলছেন। তাদের মুল উদ্দেশ্য এ্যাড. আবুল কালামকে দলীয় ও সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করা। কালাম উদ্দেশিত নেতারা কমিটি থেকে পদত্যাগ করলে তারা রাজনীতি থেকে অনেকটাই ধুরে সরে যাবে। আর মহানগর বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কথা বলার কারনে তারাও এ্যাড. কালামের কাছ থেকে ধুরে সরে যাবে। ফলে ফাঁকা মাঠে ক্ষমতাশীনদের নির্বাচন অনেকটাই সহজ হবে। শুধু তাই নয় মুকুল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে দল থেকে নিজেকে কৌশল ভাবে সরিয়ে নিতে চাইছেন।
কারন ধারনা করা হচ্ছে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে। একটি পক্ষ নয়া বিএনপি ঘোষনার অপেক্ষায়। সেই দল ঘোষনা হলেই তৈমূর মুকুলের রাস্তা পরিষ্কার। কারন সাবকে সাংসদ কালামের পর বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভবনা থাকে তার ছেলে আবুল কাউছার আশার। তাহলে মুকুলের এমপি হওয়ার খায়েসে ছাঁই।
তাই বিএনপিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে নতুন দল ঘোষনা করলে তাদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে টিকেট নিতে খুব সহজ হবে। আর তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে ক্ষমতাশীনদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নয়। ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হবে। আর সুকৌশলী দুই নেতা তৈমূর আর মুকুল ক্ষমতাশীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার কারনে শুধু আর্থিক ভাবে নয় কালাম মাইনাসের রাজনীতিত্বেও সফলতা পাবে। যাতে করে ভবিষ্যত্বে তারাও এমপি হয়ে স্বপ্ন পুরন করতে পারেন।