দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম:মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের রাজনীতি করি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের ডাকে রাজপথে থেকে আমরা যে মামলা হামলার শিকার হয়েছি। বর্তমান যারা মহানগরের দায়িত্ব পেয়েছে তারা কেউই এতো মামলা খায়নি। আমাদের একজন কর্মী মামলা খেয়ে যেভাবে জেল জুলুমের শিকার হয়েছে, সেই পরিমানও তারা মামলার শিকার হয়নি। আজকে তারা বলে পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির অবসান ঘটেছে।আরে ভাই এই পরিবারের হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আপনারা তাদেরকে মাইনাস করে রাতের আধারে কমিটি নিয়ে এসেছেন। আমাদের পদ পদবির দরকার নাই বিএনপির একজন কর্মী হয়ে আমরা রাজপথ কাপাবো। দেখি আপনারা দায়িত্বে থেকে কতটুকু রাজপথ কাপাতে পারেন।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় নগরীর জামান টাউয়ারে পতাকা মিছিল কর্মসূচি সফল করার উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি মূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রস্তুতি মূলক সভায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, মনিরুজ্জামান মনির, এ্যাড. রিয়াজুল ইসলাম আজাদ,
মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা, মহানগর বিএনপি নেতা হান্নান সরকার, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, সরকার আলম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, মহানগর শ্রমিক দলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর।
মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, রাজনীতিত্বে নেতৃত্বর প্রতিযোগীতা থাকাটাই স্বাভাবিক কিন্তু নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য দলকে সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল করা বড় অপরাধ। মরহুম জালাল হাজ¦ী পরিবারের পিছনে হাজার হাজার নেতাকর্মী রাজনীতি করে। তাদের দিকে খেয়াল রেখে হলেও কমিটি করার পুর্বে আমাদের সাথে বসা উচিৎ ছিলো।
লুকিয়ে কমিটি এনে কি লাভ যদি আপনাদের পিছনে কর্মীই না থাকে। আমরা মরহুম জালাল হাজ¦ী সাহেবের হাত ধরে বিএনপির রাজনীতিতে এসেছি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ বুকে লালন করে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিদের্শে ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহবানে রাজপথে ছিলাম এবং যতদিন বেচে থাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজপথে থাকবো।
মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউছার আশা বলেন, চোরের মার বড় গলা তারা বলে পরিবারতন্ত্রের সম্পাপ্তি হয়েছে। আবার বলে মন্ত্রি, এমপিদের সাথে ছবি থাকে। আরে ভাই একবার জনগণের সেবা করার জন্য ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে দেখান। যখন দেখবেন বাধ্য হয়ে মন্ত্রী এমপিদের সাথে ছবি তুলতে হয় বুকে কত কষ্ট লাগে। মহানগর বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন আপনারা আগে দুই কোটি টাকার হিসাব দেন। তারপর আপনাদের সাথে রাজনীতি করবো। আপনাদের যদি প্রশ্ন করি জেলখানা দেখতে কেমন বলতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক দল কেন টুকরা হলো আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি তাদের এক সাথে কাজ করানোর জন্য। কে বাধা হয়ে দাড়িয়ে ছিলো তা শ্রমিক দলের নেতারাই বলবে। আমরা আপনাদের কমিটি নিয়ে ভাবি না। কারন বেশি দিন যাবে না দুই ইদুরই তাদের টুকরা করবে।
এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, প্রমান দেখান আমরা বহিষ্কার ঠেকাতে কোন নেতাদের কাছে গিয়েছি। এমপিদের সাথে আতাঁত থাকলে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন করতো না। আমাদের কাছে খবর আছে কমিটি আসার পর আপনি ফ্লাট কিনেছেন। কোথা থেকে টাকা আসে তা আপনারাই ভাল জানেন।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুব বিষযক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মতিন, সাবেক শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবা উদ্দিন স্বপন, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু, সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক সোলেইমান, রোমান হোসেন,
মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক রানা মুজিব, মহানগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হোসেন কাজল, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, আবুল হোসেন সরদার, আনোয়ার হোসেন বকুল, সাইফুল ইসলাম বাবু, আল-মামুন, সাফী, হাবিবুর রহমান, নাছির, মামুদুর রহমান মাসুম, ফরিদ আহম্মেদ, পনেজ, মাহবুবুর রহমান মফিজ,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, হুমায়ুন মোল্লা সহ বিভিন্ন থানা ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।