দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, দেশেরে মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিবে না শেখ হাসিনা। কারন তার বাবার মৃত্যুর পর তার জানাজায় তো দূরের কথা কেউ ইন্নালিল্লাহও পড়ে নাই। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজায় জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছিলো।
উন্নয়নের নামে হাসিনা সরকার দেশের মানুষের সাথে ধোকাবাজি করছে। তাই আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক, দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে আছি থাকবো।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু,
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি নেতা মহসিন দেওয়ান, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন,
মনিরুল ইসলাম মনু, কাবিল হোসেন, আলমগীর হোসেন, রাশেল,আব্দুল হামিদ ভাষানী, মদনপুর ইউনিয়ন যুবদল নেতা সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, ইয়াকুব, মদনপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক খোকন সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল আরও বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাদের সাথে আলোচনা করার উদ্যোগ গ্রহন করেছি। আজকে আমরা উত্তর থেকে শুরু করলাম পরে দক্ষিনে যাবো। পরে আপনাদের সকলকে নিয়ে ঢাকার সমাবেশ সফল করার জন্য আমার উত্তরে যাবো।
এ সময়ে তিনি মহানগর বিএনপির কমিটির বিষয় তিনি বলেন, যে কমিটি দেওয়া হয়েছে সেখানে বিএনপির অনেক ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এটা রাতের আধারের কমিটি দেওয়া হয়েছে। কারন কমিটির বিষয় মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ আমরা কেউই জানি না।
এই বিষয়টি নিয়ে আমরা মহাসচিবের সাথে কথা বলেছি তিনি যুগ্ম-মহাসচিবকে দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। আর ঢাকা বিভাগীয় টিমের এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ ভাইকে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আর মহাসচিব নিজেই নারায়ণগঞ্জের দায়িত্ব নিয়েছেন। কারন ঢাকাকে রাজনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আগামীতে গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজী পুরের মত নারায়ণগঞ্জেও শক্তিশালী কমিটি দেওয়া হবে।
প্রধানবক্তা হিসেবে সাবেক মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বের বন্দর-নারায়ণগঞ্জ মিলে আতাউর রহমান মুকুল ও হাজী নুরুউদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকার সমাবেশ সফল করবো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি করতে কাগজের কমিটি লাগে না, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সৈনিক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে মাফিয়া সরকারের হাত থেকে দেশ ও দেশের জনগণকে রক্ষা করবো। কোন অপশক্তি আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাজী লিটন, ইব্রাহীম, কায়ুম, আকাশ, আমির হামজা, শহীদুল্লাহ, বাবু, ফিরোজ, সাহাবুদ্দিন, মহিলা নেত্রী সাহারা, মাজেদা খাতুন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।