দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। প্রকাশ্যে না বললেও গোপনে গোপনে তিনি সভাপতি হতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পর্ন্ন করে রেখেছেন বলে জানা গেছে। যদিও তিনি ৯৯% দাবী করে বলছেন যে তিনি সভাপতি হতে ইচ্ছুক না। বাকী ১% এর উপর নির্ভর করছে তার সভাপতি হওয়ার ইচ্ছে। তবে তা হিতে বিপরীত মনে করছেন শামীম ওসমানের অনুসারীরা। এ ১% হতে পারে তার সভাপতি হওয়ার কৌশল। কাউন্সিলের দিনই শামীম অনুসারীরা প্রধান অতিথির বরাবার জোড়ালো দাবী জানাবেন তাকেই যেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বানানো হয়।
তবে এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী মুখ খুলছেন। অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে শামীম ওসমান কে সভাপতি বাবানোর নীলনকশা বাস্তবায়নের পথ খোলা রেখেছে।
জানা যায় আগামী ২৩ অক্টোবর জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
ইতিমধ্যে শামীম ওসমান সম্মেলন সফল করার নামে কয়েকটি বৈঠক করেছেন। সে বৈঠকে কাউন্সিল ছাড়া তেমন কাউকে ডুকতে দেননি। অত্যন্ত সু কৌশলে কাউন্সিল করার পথে এগিয়ে যাচ্ছে শামীম ওসমানের অনুসারীরা। কে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হবে এখনো পর্যন্ত নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আব্দুল হাই আবার সভাপতি প্রার্থী হবেন এটা নিশ্চিত বলে জানান আওয়ামী লীগের একটি মহল। আব্দুল হাইকে আছাড় দিতে শামীম ওসমান কে সভাপতি হিসেবে ঘোষনা করবে শামীম ওসমানের অনুসারীরা কাউন্সিলের দিন। ততোক্ষণ পর্যন্ত গোপন রাখতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শামীম ওসমান অনুসারীরা বলেন,তিনি সভাপতি হলে দল যে কোন সময়ের চেয়ে শক্তিশালী হবে। এখন তিনি দলের কোন পদে না থাকলেও কয়েক ঘন্টা আগে ডেকে যে কোন সমাবেশ সফল করতে পারেন। কাজেই তিনি সভাপতি হলে অবাক হবার কিছু থাকবেনা।
এ ব্যাপারে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।