দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খান সহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবী এবং দেশনায়ক তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডাঃ জুবাইদা রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার(৪ নভেম্বর)বিকেল ৩টায় বন্দরের নবীগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির একাংশ ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি মোঃনূর উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সভাপতি মোঃমোস্তাকুর রহমান মোস্তাকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃআতাউর রহমান মুকুল,প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এড.মোঃজাকির হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সবুর খান সেন্টু,সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মহানগর বিএনপির মোঃআওলাদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান মুকুল বলেন,আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলো খেলা হবে খেলা। আমরা খেলবো ব্যাটমিন্টন,ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা।আমরা যুদ্ধ করবো যুদ্ধ।ভোট যুদ্ধ করবো।আমরা ভোট চোরদের দেখতে চাই না।আমরা তত্ত্বাবধান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।আপনেরা সরকারের মন্ত্রী এমপিরা বলে জনগন নাকি আমাদের সাথে নাই।তাহলে কেনো কৌশল করে ধর্মঘট ডাকা হয়।বরিশালে লঞ্চ,পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।আপনাদের কিসের ভয়।যদি আমাদের সাথে সম্পৃক্ত না থাকতো জনগনের তাহলে আপনেরা ফেয়ার নির্বাচন দেন।আসুন দেখি ক্ষমতায় থাকে কে!
তিনি আরো বলেন,আজকে সমাবেশে যারা বিএনপি করে বিএনপির পতাকা তলে থাকে তারা বলতে চাই আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই,জাকির খানের মুক্তি চাই।তারেক জিয়া ও জুবাইদা রহমানের গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রত্যাহার চাই।আগামী ১০ই ডিসেম্বর যে জনসমাবেশ ঢাকায় ডাকা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে এক লক্ষ বিএনপি নেতাকর্মী যাবে ইনশাআল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর কমিটির কথা উল্লেখ করে মুকুল বলেন,নারায়ণগঞ্জে যে কমিটি দেওয়া হয়েছে তা ভূল করে দেওয়া হয়েছে।আগামীতে সমাবেশ করে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিবে ইনশাল্লাহ।নারায়ণগঞ্জের কমিটিতে আছেন যারা তাদের উদ্দেশ্য করে বলবো আপনেরা ভূল পথে চলবেন না।আসুন আমরা এক সাথে কাজ করবো এই সরকার হটাতে।বন্দরে ইতিমধ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে সদরেও হবে।
বিশেষ অতিথির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আবদুস সবুর খান সেন্টু বলেন,আমাদের জননেতা তারেক রহমান ও সুনামধন্য স্ত্রী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার মিথ্যা গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।আপনেরা জানেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজকে গৃহবন্দি ও জাকির খান ঢাকা সেন্টাল জেলা বন্দী আছে।আমরা এই সমাবেশ থেকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া,জাকির খান মুক্তি ও তারেক রহমান ও ডা.জুবাইদা রহমানের গ্রেফাতারী পরোয়ানা বাতিল চাই।আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে আতাউর রহমান মুকুল,নূর উদ্দিন সাহেব ও আমাদের ছেলে সন্তান আবুল কাউসার আশার নেতৃত্বে বিশাল জনসমাবেশ নিয়ে যোগদান দিবো।
সভাপতির বক্তব্যে নূর উদ্দিন বলেন,আজকে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপির অস্তিত্বের।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন,মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু,মোঃফারুক হোসেন,মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার,মহানগর বিএনপি নেতা কাউন্সিলর মোঃসুলতান মাহমুদ,সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন খোকন,জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃপারভেজ মল্লিক, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন,মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মোঃইসমাঈল হোসেন,সাবেক সহ-সভাপতি মোঃরিয়াজুল ইসলাম আজাদ,সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিঠু,সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃআনিসুর রহমান মোল্লা,বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড.বিল্লাল হোসেন,বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃশহীদুল ইসলাম রিপন,মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃফারুক চৌধুরী,সাইদুর রহমান,আজাদ,মোঃশাহ আলম,এড আব্দুর মতিন,ইলিয়াস বারী মামুন,শহীদ জাসান খান সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।