দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: মহানগর যুবদলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই নানা আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে নিয়ে অর্থ কেলেংকারীর অভিযোগ সহ মহানগর নেতাদের বাদ দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের কমিটিতে রাখার অভিযোগ উঠে আসছে স্থানীয় মিডিয়াতে।
এছাড়াও শুরু থেকে ৭১ বা ৮১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও সেটা ৩১ সদস্য সংক্ষ্যায় আটকে আছে। তাউ শুধু মৌখিক ঘোষণা দিয়ে ঘাপটি মেড়ে বসে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বাস্তবে কমিটির রুপ দিতে পারেনি।
এদিকে, মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অর্থ কেলেংকারী, একপেশী মনোভাবের অভিযোগ এনে প্রায় ডজনখানিক নেতা অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে। শুধু তাই নয় ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির বাকি ৩ নেতার সাথে আলোচনা না করেই নিজেদের মনগড়া কমিটি জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও রাজপথের ত্যাগী নেতা, মামলা হামলার শিকার, জেল জুলুম খাটা নেতাদের কমিটিতে স্থান না দিয়ে অর্থের বিনিময় সুবিধাবাদী ও ক্ষমতাশীন দলের সাথে আতাঁত করা নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে নানা অভিযোগ উঠে আসছে।
অপরদিকে, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করার পর থেকে সুকৌশলে আহবায়ক ও সদস্য সচিব তাদের পছন্দের নেতাদের কমিটিতে রাখতেই নাকি কেন্দ্রেীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে লবিং চালাচ্ছেন। এরফলে বর্তমান কমিটিতে থাকা আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে এক প্রকার মাইনাসের রাজনীতি চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ সকল নানা আলোচনা-সমালোচনার ও অভিযোগের মধ্য দিয়ে ধোয়াশায় কাটছে মহানগর যুবদলের রাজনীতি
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, দল আমাকে মহানগর যুবদলের দায়িত্ব দিয়েছে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ মোতাবেক আমরা প্রতিটি কর্মসূচি সফলতার সহিত পালন করে আসছি। সেই সাথে কিভাবে যুবদলকে শক্তিশালী করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি।
এখন যারা কাজ করে তাদের বিরুদ্ধেই আলোচনা সমালোচনা হয়। আর যারা কাজ করে না তাদের নিয়ে মিডিয়াতে বা রাজনৈতিক অঙ্গনে কোন অভিযোগ থাকে না। সেটা কেন এই প্রশ্নটা রাখলাম সাংবাদিক ভাইদের কাছে। আর যারা অভিযোগ করেছে তারাও আমার নেতাকর্মী আর যারা আমাদের সাথে থেকে রাজপথে থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করছে তারাও আমাদের নেতাকর্মী।
তাই কাউকে নিয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি সেটা সঠিক ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। আর আমার কাজের মূল্যায়ন করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর বেশি আমি কিছু বলতে চাই না।
মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মলিরুল ইসলাম সজল বলেন, যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তারা সংগঠনের কোন কর্মসূচিতে আসে না। এখন তাদেরকে আমরা কিভাবে কমিটিতে রাখবো। মহানগর যুবদল প্রতিটি কর্মসূচি সফল ভাবে পালন করে আসছে, এবং মহানগর যুবদল সাংগঠনিক ভাবে অনেক শক্তিশালী।
তাই মহানগর যুবদলের কর্মকান্ডে ইশ্বানিত হয়ে একটি পক্ষ ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের বৃথা চেষ্টা করছে। সেই সাথে কৌশলে আমাদের কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। যাতে করে মহানগর যুবদল রাজপথে শক্তিশালী হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করতে না পারে। তবে কোন বাঁধাই যুবদলকে রাজপথ থেকে সড়াতে পারবেনা।