দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লার ইসদাইরে মাদক স¤্রাজ্ঞী সীমা বাহিনীর হাতে নিহত মামুন হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ১৪ নং আসামী জয়কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার ( ২৭ ডিসেম্বর ) দুপুর প্রায় ২টায় ইসদাইর শান্তা গার্মেন্টস এর সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে জয়কে পুলিশে সোপর্দ করে। গ্রেফতারকৃত জয় এলাকার সুমন দাসের ছেলে।
জয় এর গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.হুমায়ূন কবীর ২ বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ইসদাইর শান্তা গার্মেন্টস এর সামনে থেকে জয়কে আটক করি। এ মামলার অন্যান্য আসামীদেরকের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য যে, ৫ ডিসেম্বর ইসদাইর এলাকার ইমন সাহেবের বাড়ির সামনে তুচ্ছ ঘটনায় মামুনকে হত্যা কওে মাদক স¤্রাজ্ঞী সীমার পালিত বাহিনীর সদস্যরা। মুলত মাদক বিক্রি নিয়ে সেখানে ইতিপুর্বে আরও ২/১টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যার মুলে সীমা বেগম। ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইর রেললাইন নগরীর আলোচিত একটি নাম। মাদক ও অপরাধকর্ম এবং ২/৩টি হত্যাকান্ডের ঘটনার পর যেন অনেকটাই আলোচিত হয়ে উঠেছে ইসদাইর এলাকাটি। রেললাইনের পাশেই রয়েছে বাজার আর রয়েছে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যা নিয়ে কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় এমপি কিংবা গন্যমান্য ব্যক্তিদের। শহরের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সীমা ও তার দুই ছেলে ইসদাইর বাসীর রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। যারা মাদক বিক্রির পাশাপাশি ছোট বিষয়ে নিয়ে হত্যাকান্ডের মত জঘন্যতম কর্ম করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। ইতিমধ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মামুন হত্য মামলার অন্যতম আসামীও সীমাসহ তার দুই ছেলে । যার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে রেললাইন এর মাদক ব্যবসা ও ২/৩ টা কিশোরগ্যাং এর গ্রুপ। যারা নিয়ন্ত্রন করে সীমার যতসব অবৈধ কাজ। আর ইসদাইর বাজার ও আশপাশ এলাকায় সীমা হেরোইন ব্যবসার অন্যতম সদস্য জামাল এখনও পর্যন্ত রয়েছে বহাল তবিয়তে। হত্যা মামলায় সীমাসহ সাঙ্গপাঙ্গরা দুরে থাকলেও থেনে নেই সীমার হেরোইন ব্যবসা স্পটটি। প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে হেরোইন সেবীরা সংগ্রহ করছে তাদের সেবনকৃত হেরোইন।
ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইর রেললাইন এলাকায় মাদক ব্যবসা কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল এক বাহিনী। যাদের কাজ সীমার বিরুদ্ধে যদি কেউ কথা বলে তাহলে তাদের উপরে হামলা ও বিভিন্ন রকমের হয়রানী মূলক কাজ করা। যাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১, ডিবি পুলিশ ও ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে রয়েছে একাধিক মাদক ও হত্যা মামলা। তার পরেও দিনের আলোতে তারা রাজার মত করে ঘুরে বেরাচ্ছে এবং মাদক এর ব্যবসা করছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ করেছে।
সীমার দুই ছেলে মামুন হত্যা কান্ডের পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং সীমা তার মাদক বিক্রির অবৈধ টাকা দিয়ে ফতুল্লা ও শহরের দুই বিশেষ ব্যক্তি দিয়ে টাকা বিনিময় প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পরে লেগেছেন বলে জানা যায়। এছাড়াও ফতুল্লার এক বিশেষ ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে যাতে তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু বিধিবাম তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। মামুন হত্যা কান্ড ধামা চাপা দিতে নিহত মামুনের বোন জামাই’র বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে যে তার বোন জামাই নাকি তার ভাই হত্যা জন্য আসামীদের কাজ থেকে ৮০ লাখ টাকা দাবী করেছেন। তবে মামুন হত্যা মামলার আসামী পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করে।
সীমা বেগম ও তার দুই ছেলের এর বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী একযোগ হয়ে আন্দোলনে নামবে বলা জানা যায়। কারন সীমার কারনে ইসদাইর এলাকয় যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে হিরোইন, ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজাঁ সহ নানা ধরনের মাদক।
হত্যা ও মাদক সহ যাদের বিরুদ্ধে এত মামলা তার পরে পুলিশ তাদের ধরছে না তাই এলাকাবাসী ডিসি ও এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে । যাতে সীমা বেগম ও তার ছেলেদের আটক করে এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। এবিষয়ে ইসদাইর এলাকার সাধারন মানুষ বলে, আমরা এখন শান্তি চাই কারন তারা মাদক বিক্রি করে কেউ কিছু বলতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, প্রায় ৬ মাস পুর্বে একই এলাকায় শামীম নামে আরেকটি যুবককে হত্যা করা হয়েছিলো। সেই হত্যাকান্ডের মাষ্টারমাইন্ড ছিলেন এ মাদক স¤্রাজ্ঞী সীমা বেগম। তার কৃত অপরাধ কর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে মৃত্যু তার জন্য অবধারিত হয়ে দাড়ায়। যেমন হয়েছে শামীম ও মামুনের ক্ষেত্রে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, সেখানে অপরাধীকে ধরতে সাংবাদিকরা তাদের লিখুনীর মাধ্যমে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সেখানে হচ্ছে পুরোটাই উল্টো অথ্যাৎ সীমার অর্থায়নে বর্তমানে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে যা খুবই নিন্দনীয়। সীমা ও তার বাহিনীর সদস্যদের কারনে আমাদের ছেলে ও মেয়েরা বাহিরে বের হতে ভয় পায়। কারন তারা মাদক বিক্রি নিয়ে যে ভাবে হাতে চাকু ,লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি করে তাতে যেকোন সময় আরো সাধারন মানুষ হত্যাকান্ডের শিকার হতে পারে।
আমরা চাই মামুন ও শামীম হত্যাকান্ডের মাষ্টারমাইন্ড মাদক স¤্রাজ্ঞী সীমা তার দুই ছেলেসহ সকল সহযোগিদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান করা হউক।