বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদ নারায়নগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
শনিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে খানপুর ৩শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৪ আসনের সাংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান বলেন, একটা কথা আমার এখনো মনে পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার মা যখন বাহিরে বের হতো তখন সবাই আমার মাকে সালাম করতো আর বলতো ভাবী আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হতে পারি দেশের জন্য মরতে পারি।
আমি শুনে তখন খুব অবাক হতাম।মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার আব্বা,বড় ভাই নাসিম ওসমান,মেঝো ভাই সেলিম ওসমান তখন ক্লাস ৯ পড়ে তারা মুক্তিযুদ্ধে যায়।আমি মাকে প্রশ্ন করতাম মা স্বাধীনতা মানে কি তখন তিনি বলেন স্বাধীনতা মানেই শেখ মুজিব।
১৯৭৫ সালে সেই মহান নেতা বাঙালী জাতির জনক ও তার পরিবারকে নৃসংশভাবে হত্যা করে।আমাদের আজকের এই অনুষ্ঠান তাদের জন্য দোয়া করার।আগষ্ট মাসকে শোকের মাস হিসেবে আমরা শোক দিবস পালন করি।আপনারা আমাদের জাতির পিতা ও তার পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমার এচিভম্যান্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা করার আগে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।শেখ হাসিনার কোটি কোটি কর্মী থাকা সত্ত্বেও আমাকে অফিসে আরটিএস বোম্ব দিয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো।
আমি যখন বিদেশ থেকে নারায়নগঞ্জ আসলাম তখন দেখলাম এত মানুষ আমাকে দেখার জন্য এসেছে এর আগে আমি দেখি নাই আমি তখন মনে মনে বলেছিলাম শামীম ওসমান কি কোন বানর নাকি তাকে দেখার জন্য এত মানুষ। তারপর আমার বাবার কবর জিয়ারত করতে গিলে আমার সাথে ৫ জন মানু আসে পরে আমি বুঝতে পারলাম আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করবে।আমাকে গ্রেফতার করার জন্য হাজার ৫ বেশি পুলিশ সেনাবাহিনী চাষড়া আটক করে দাড়িয়ে আছে।
আমার গাড়ীতে পুলিশ এসে বসে তখন আমি আমার এলাকায় ডুকে পরি মসজিদে মাইক করে বলা হয় আমাকে গ্রেফতার করা হবে আমি এর আগে কখনো দেখি নাই আমার এলাকার প্রতিটি মহিলা বের হয়ে আসে আমাকে যাতে পুলিশ গ্রেফতার না করে নিয়ে যেতে পারে।
আমি স্বাধীন চেতনা মানুষ স্বাধীনভাবে থাকতে চেষ্টা করি কিন্তু মানুষের ভালবাসায় আমি অভিভূত।আমি বাংলাদেশে আসার পর কিছু কিছু পত্রিকার সম্পাদক আমাকে উদ্দেশ্য করে লেখে কামিং গডফাদার শামীম দিয়ে লেখালেখি করে।
নারায়নগঞ্জ কে নিয়ে আবারও খেলা শুরু হয়েছে। আমি সব কিছু মানতে রাজি আছি কিন্তু যে সকল নেতা কর্মীরা যারা শেখ হাসিনার জন্য মরতে রাজি তাদের গায়ে হাত দিলে মেনে নিবো না।
আমি একজন সাচ্চা কর্মী হয়ে বলতে চাই মুখোশ উন্মোচন করতে পারি রাস্তায় বেড়োতে পারবেন না যারা একটাই কথা বলবো নারায়নগঞ্জ নিয়ে খেলবেন না নারায়নগঞ্জ রাজনীতি নিয়ে খেলবেন না। আমরা রাজনীতি টাকার জন্য করতে আসি নাই।আমরা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই।
শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি আরো বলেন, আপনার শুধু একজনের জন্য দোয়া করবেন শেখ হাসিনার জন্য কারন তিনি সব হারিয়েছে।৩১ বছর বয়সে এসে রাজনিতি ধরেছে।
আসলের থেকে নকল ভরে গেছে।
নারায়নগঞ্জ রাজনীতি নিয়ে খোঁচাখোঁচি করবেন না।আপনারা জানেন না নেতাদের জানেন না নারায়নগঞ্জ বাসীদেরও জানেন না তাই বলবো আপনারা নারায়নগঞ্জ রাজনীতি নিয়ে খেলবেন না।নারায়নগঞ্জ নিয়ে খেলবেন না। না রায়নগঞ্জ শেখ হাসিনার ছিলো এখনো আছে।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের(স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ড.এম.ইকবাল আর্সলান, স্বাচিপ এর মহাসচিব ড.এম.এ আজিজ,সাংগঠনিক সম্পাদক ড.অনুপ কুমার সাহা,স্বাচিপ এর সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুগ্ন সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক ড.আবু জাফর চৌধুরী,দিলরুবা ইয়াসিম,
নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন ড.মোঃইমতিয়াজ,ড.আবু জাহের,ড.বিধান চন্দ্র পোদ্দার,নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু,নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এড.হাসান ফেরদৌস জুয়েল প্রমূখ।