নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম বলেন, বিএনপির ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের প্রথম দাবি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।
সরকার দ্বারা বিচার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় গণতান্ত্রিক উপায় কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাকে মুক্ত করতে পারিনি। আগামী দিনে দলের কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।
রোববার (১ লা সেপ্টম্বর) বিকেল সাড়ে ৩ টায় কালিবাজারস্থ মহানগর বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে দলের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন,মনিরুল ইসলাম সজল, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপি নেতা হাজী ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক।
এ সময় এ্যাড. আবুল কালাম আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের প্রথম ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি। আজ থেকে ৪২ বছর আগে আজকের এই দিনে তিনি ৭৫ সদস্য বিশিস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রকৃত অর্থ হচ্ছে বাঙ্গালী জাতি।
আর এই দলের প্রতিষ্ঠা কালিন সময় থেকে জালাল হাজী নারায়ণগঞ্জে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজকে যারা এই পরিবারকে নিয়ে সমালোচনা করেন সে সময় তাদের কোন অস্থিত্ব ছিলো না।
আজ যারা বিএনপির ব্যানারে থেকে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা সব সময় দলে থেকে ফায়দা লুটতে আসে তাদের থেকে সাবধান থাকবেন।
এসময় তিনি দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, দেশে আজ গনতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। আজকে জবাবদিহিতা নাই বলেই দেশে অনেক দুর্নীতি হচ্ছে।
মানবিক কারন দিক বিবেচনা করে রহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। অথচ তারা আজ আমাদের প্রশাসনের উপরে তারা হাত তুলে। এতেই ধারণা করা যায় তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে। এই পরিস্থিতি সমাধান না করলে একটা সময় দেখা যাবে এ দেশের অনেক স্থান তাদের দখলে।
অথচ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা কালিন এই রহিঙ্গা সমস্যা হয়ে ছিলো। আমরা কিন্তু সেটা সমাধান করেছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী নুরু উদ্দিন, আয়শা সাত্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর সবুর খান সেন্টু, কোষাধক্ষ মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর বিএনপি নেতা এড. আনিসুর রহমান, নজরুল ইসলাম সরদার, জাহাঙ্গির মিয়াজী, শওকত আলী লিটন, খোকন, সাইফুল ইসলাম, আল আরিফ, আল মামুন,
মহানগর যুবদল নেতা আলী ইমরান শামীম, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক দুলাল হোসেন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, রাব্বী, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলী আজগর, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুল হক, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ সিদ্দির আহম্মেদ প্রমুখ।