দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: বন্দরে ভ্রাম্যমান আদালত অবৈধ বেকুর কাজ বন্ধ করলেও এখনো চলছে তাদের কৃষি জমি কাটার কাজ। এলাকাবাসী যেখানে কথা বলতে সাহস পেত না, সেখানে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অবৈধ বেকু বন্ধ করে দেয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া ইয়াসমিনের নের্তৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের খবর পেতেই ছটকে পড়ে বেকু চালকসহ শাওন গ্রুপ। মাধবপাশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেকু পাইলেও হোতাদের পাওয়া যায়নি। বেকুটি আনার মত সরঞ্জাম না থাকায় উপজেলায় আনতে পারেনি।
তার পরের দিন ব্যবস্থা গ্রহনের কথা উপজেলা প্রশাসন জানালেও তা ওই খানেই সীমাবদ্ধ। রহস্যজনক কারনে বেকুটির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টি সভাপতি বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাওনের বেকু বলে এখনো বহাল তবিয়তে।
সূত্র মতে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে মাটি কাটা বন্ধ করেছে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসার সুরাইয়া ইয়াসমিন। কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মাধবপাশা এলাকায় কৃষি জমিতে বেকু দিয়ে মাটি কাটার অভিযোগ পেয়ে উপজেলা প্রশাসন মোবাইল কোর্ট দেয়। ৭ ফ্রেবুয়ারি ( মঙ্গলবার) বিকেলে বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসার সুরাইয়া ইয়াসমিনের নের্তৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
কৃষি জমিতে বেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় তা বন্ধ করলেও তাদের উপ¯ি’তি টের পেয়ে চক্রটি পালিয়ে যায়। মোবাইল কোর্টের সময় বেকু কার বা এ কাজের সাথে জড়িত কে এমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীকে জিজ্ঞাসা করে কোন প্রকার তথ্য পাওয়া যায়নি। বেকু আনার মত সরঞ্জাম না থাকায় তা সেখানেই রাখা হয়েছে। ৮ ফ্রেবুয়ারি (বুধবার) এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে বন্দর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
তবে এলাকাবাসীসহ একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে শাওন, রানা, খোকন,নের্তৃত্বে অন্যের জমি সহ মাটি কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। বেকুটি বন্দর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়ার ছেলে শাওনের নেতৃত্বে চলে।