দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লায় অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাসেল (৪০) নামে এক সিএনজি চালককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ) রাত ৯টায় ফতুল্লা শাসনগাঁও এলাকায় শামীম তালুকদারের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারীচক্রের দুই সদস্যকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় আরো ৩-৪ জন।
অপহৃত সিএনজি চালক রাসেল ফতুল্লা মডেল থানার ধর্মগঞ্জের জলিল মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে আটককৃত দুই যুবকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন কে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলো ফতুল্লা এনায়েত নগরের সরদার বাড়ীর মো. আকবর সরদারের ছেলে নুর হোসেন সরদার(৪২) ও হাসান আলীর ছেলে হাবিব সরদার(২৫)।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, বাদীর ভাই রাসেল একজন সিএনজি চালক। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় পঞ্চবটী কস্তরি হোটেলের সামনে আসামাত্র অভিযুক্তরা তার ভাইকে জোড় পূর্বক একটি অটোরিক্সায় তুলে অপহরন করে। পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে অপহৃতের মোবাইল থেকে বাদীকে ফোন করে এক লাখ টাকা দাবী করে। অন্যথায় অপহৃত সিএনজি চালককে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে বাদী ৫০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা স্বীকার করে। আটককৃত নুর হোসেন জানায়, টাকা শাসনগাঁও শাহী মসজিদের সামনে নিয়ে এলে টাকা পেয়ে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বাদী পুলিশের সহায়তা নিলে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে ছদ্মবেশ ধারন করে টাকা দিয়ে শাহি মসজিদ গলিতে পাঠায়। এ সময় আটককৃত হাবিব টাকা নিতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে।
এদিকে, হাবিবের স্বীকারোক্তি মতে শামীম তালুকদারের মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে গিয়ে হাত- পা বাধা অবস্থায় অপহৃত সিএনজি চালককে উদ্ধার সহ আটক করে নুর হোসেন নামক এক অপহরনকারীকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৩-৪ জন অপহরনকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গিয়াস উদ্দিন জানায়, বাদীর নিকট থেকে অভিযোগ পেয়ে কৌশল অবলম্বন করে আমরা প্রথমে হাবিব নামক এক অপহরনকারীকে গ্রেফতার করি। পরে তার দেখানো মতে একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত সিএনজি চালক কে হাত- পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার সহ সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় নুর হোসেন নামক অপর একজনকে। ১ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায়ে সিএনজি চালক কে অপহরন করা হয়। এবং সিএনজি চালকের সাথে ২৮ হাজার ৫ শত হাজার টাকা অপহরনকারীরা নিয়ে যায়। জড়িত অপর পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।