দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পরিবহন চাঁদাবাজরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না পরিবহন চাঁদাবাজি। মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির নাগের ডগায় ভুয়া বানোয়াট রশিদ তৈরি করে ট্রাক সহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে একটি গ্রুপ।
জানা গেছে, ঢাকা বিভাগ শ্রমিক ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার কথিত সভাপতি আসাদুজ্জামান খোকনের সেল্টারে তার শ্যালক ডেকোরেটর শ্রমিক সোহেল সহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রকাশ্যে পরিবহন থেকে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ হয়েছে বহুবার।
এছাড়া, র্যাব ও ডিবি পুলিশ একাধিকবার চাঁদাবাজির টাকা ও রশিদ সহ এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে। সড়কে চাঁদাবাজির মূলহোতা ডিস সোহেল এসব মামলায় আসামী হলেও জামিনে এসে চাঁদাবাজি অব্যহত রেখেছে। বন্দর থানা ও মদনগঞ্জ ফাড়ির মধ্যবর্তী মদনগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড চলছে প্রকাশ্যে পরিবহন চাঁদাবাজি।
মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের নাকের ডগায় পেশাদার এই চাঁদাবাজদের পরিবহন থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে চালক ও সচেতন মহলে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ আন্তজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের নামে মৃত ও পঙ্গু সদস্যদের কল্যাণে রশিদ তৈরি করে চাঁদাবাজির মহা উৎসবে মেতেছে খোকন, সোহেল গং।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভুয়া এই রশিদের মাধ্যমে ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে হাজার হাজার টাকা তুলে মৃত ও পঙ্গু শ্রমিকদের নামে চাঁদার টাকা ভগ্নিপতি ও শ্যালক মিলে আত্মসাৎ করছে। মদনগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড দিয়ে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বিভিন্ন জেলা থেকে বসুন্ধরা, ইনসি সিমেন্ট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। পরিবহনের চালকও হেলপারদের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে এই চাঁদাবাজ চক্রটি রশিদের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে থেমে নেই ভগ্নিপতি ও শ্যালকের চাঁদাবাজির মহোৎসব। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা আবারো প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, সেই সাথে এই চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা সহ গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।