দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জে ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার পার্টি হওয়ার কথা থাকলেও মহানগর বিএনপি নেতাদের কারিশম্যাটিক কৌশলের কারনে সেটা আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার পাটি ১৪ তারিখের পরিবর্তে ১৬ তারিখ ঢাকা নাট্যমঞ্চে ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই সকল কারিশম্যাটিক কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সফল হয়েছে এ্যাড. সাখাওয়াত বলে অভিযোগ করেন মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা দাবি করে বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় যুবদলের ইফতার পার্টি নারায়ণগঞ্জে করার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে কয়েকটি ভেন্যু পরিদর্শন করে নাসিক ১২নং ওয়ার্ডস্থ চৌরঙ্গী পার্কে করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দরা প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে ভেন্যু নির্বাচনে বাঁধা প্রদানের জন্য কৌশলে এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন বিভাগীয় যুবদলের নেতাদের ফোন করে নিজেকে মেয়র প্রার্থী পরিচয় দিয়ে ইফতার পার্টির ভেন্যুর প্রশাসনিক অনুমোদনের দায়িত্ব নেন। সেই সাথে বিভাগীয় ইফতার পার্টি যাতে সফল ভাবে সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে ওয়াদা করেন।
অপরদিকে এ্যাড. সাখাওয়াত জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনির সাথে মিলিত হয়ে কিভাবে কর্মসূচি শহরে পন্ড করে ফতুল্লা করা যায় সেটা নিয়ে হিসেব কষতে থাকেন।
তারা আরও বলেন, মশিউর রহমান রনির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা পাওয়ার আশায় সেই ভেন্যু পুলিশ সুপারের সাথে মৌখিক কথা বলে পঞ্চবটি করার সিদ্ধান্ত নেন। সে হিসেবে বিএনপি সমর্থিত অনেক ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্না ধরতে থাকেন ইফতার পার্টির খরচটা খসাতে। এদিকে পঞ্চবটিতে ইফতার পার্টির মঞ্চ গোছানোর সময় ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাদের বাঁধা প্রদান করেন।
সেই সাথে প্রশাসনিক অনুমতির কাগজ দেখাতে বলেন, এ যেন হাটে হাড়ি ভাঙ্গার সামিল। অনুমতির কাগজ না দেখাতে পারায় তাদের সকল কৌশল ভেস্তে যেতে শুরু করে। পরে বিভাগীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দরা সোনারগাঁয়ে ইফতার পার্টি করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। যেটা করলে রনি সাখাওয়াতের পকেট ফাঁকাই থেকে যাবে। তাই কৌশল অবলম্বন করে ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত করে সেই কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করেন। অবশেষে এখন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা বিরক্ত হয়ে যুবদলের বিভাগীয় ইফতার পার্টি ঢাকায় করার সিদ্ধান্ত নেন।
এতে করে রনি সাখাওয়াতের পকেট ফাঁকা থাকলেও ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ফলে এই দুই গুনধর নেতা তাদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে রইলো। যেটা তাদের জন্য আর্থিক কিছু মুনাফার চেয়ে বড় ফায়দা হওয়ার রাস্তা হয়ে রইলো।
এদিকে এ্যাড. সাখাওয়াত ও রনির এই ধরনের কর্মকান্ডে অনেকটাই ক্ষুব্দ নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও যুবদলের নেতৃবৃন্দ। তাদের এই কৌশলতার কারনে মহানগর যুবদলকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত দেখাতে চাইলেও সেটা আর হয়ে উঠেনি। কারন খোদ কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দরা বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছেন। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আলোচনা করবেন। আর এ্যাড. সাখাওয়াতের স্বপ্ন মহানগর যুবদলের মাইনাস ফরমূলার মন্তু-সজলকে ব্যর্থ দেখিয়ে তাদের নিজস্ব নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার কৌশলও কতটা সফলতার মুখ দেখবে সেটাও এখন দেখার বিষয়।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু বলেন, যুবদলের বিভাগীয় ইফতার পার্টি নারায়ণগঞ্জে হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ার করনে সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন সেটা ঢাকা নাট্যমঞ্চে ১৬ তারিখ হওয়ার কথা রয়েছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারবোনা, আর বলতেও চাই না। আপনারা যা শুনেছেন সেটা কতটুকু সত্য সেটা আমি বলতে পারবো না। কারন এটা আমাদের দলের অভ্যন্তরিন বিষয়। এর বেশি আমি কিছু বলতে চাই না।
এবিষয় মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, আপনারা কি তথ্য পেয়েছেন সেটা আমি জানি না। আপনারা সাংবাদিক আপনাদের কাছে অনেক তথ্য থাকতে পারে। তবে আমি শুধু এতটুকু বলতে পারি প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি তাই আমরা নারায়ণগঞ্জে বিভাগী ইফতার পার্টি করতে পারছি না। এর বেশি আমি আর কিছু বলতে পারবো না।