নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দর উপজেলা পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে বন্দর উপজেলা অডিটিউরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানুর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাপা’র সভাপতি আলহাজ্ব আবুল জাহের,সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তা,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদ,
ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ,মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ আহমেদ,কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধাণ,উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসার ফারুক আহমেদ,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকম নুরুল আমিনসহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বিদায়ী বক্তৃতায় পিন্টু বেপারী বলেন,বন্দর এবং বন্দরের মানুষকে আমি খুব বেশি ভালোবেসে ফেলেছি। এখানকার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সকল জনপ্রতিনিধিগুলো একটু আলাদা। তাদের সততা ও নিষ্ঠায় আমি মুগ্ধ। আপনারা অনলাইন বা পত্রিকায় খুললেই দেখবেন বিভিন্ন এলাকায় দেখবেন ভূয়া প্রজেক্ট এনে দুর্নীতি করছে। কিন্তু বন্দরে কোন ভূয়া প্রজেক্ট ছিলো না। এতে জনপ্রতিনিধিদেরই ভুমিকা বেশি।
আমার কর্মময় সময়ে কাউকে কখনো কিছুর জন্য আদেশ করিনি বরং অনুরোধ করেছি। বন্দরের মানুষ আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। আশা করি এভাবেই আপনারা নতুন ইউএনওকে নিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন।
আরো কিছুদিন থাকতে পারলে হয়ত ভালো হত। স্বপ্ন ছিল বন্দরে একটি বঙ্গবন্ধুর মূর্তি বানাবো। সেখানে সবাই জাতীয় দিবসগুলো অত্যন্ত বন্ধবন্ধুকে স্মরণ করবে। ইচ্ছা ছিলো বন্দর উপজেলার নতুন কমপ্লেক্স উদ্বোধন দেখে যাব। যাই হোক অনেক স্বপ্ন ছিলো। মানুষ মাত্রই ভুল।
তাই আমারো অনেক ভুল হতে পারে। এসব আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাইকে আমার নতুন কর্মস্থল কুমিল্লাতে নিমন্ত্রণ রইলো। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
উল্লেখ্য, পিন্টু বেপারী ২০১৭ সালের ৩১শে আগষ্ট বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। চলতি বছরের ২৬শে আগষ্ট বাংলাদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক প্রজ্ঞাপনে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পিন্টু বেপারীকে কুমিল্লা জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়।