দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: রূপগঞ্জের শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশাকে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
র্যারের এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ সময় তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে মোশা রূপগঞ্জের হাজি মোতালেব ভূইয়ার ছেলে। তার সহযোগী একই থানার মৃত ছালেমের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫২)।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৫ মে রূপগঞ্জে স্থানীয় জনগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা, গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ২০-২৫ জন গুরুতর আহত হয়। ঘটনাটিতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা ও অন্য আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ প্রেক্ষিতে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১৩ এর যৌথ অভিযানে ৩১ মে রাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী এলাকা থেকে রূপগঞ্জ এলাকার মোশা বাহিনীর প্রধান মূলহোতা ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোশারফ হোসেন ভূইয়া ওরফে মোশা ও তার ঘনিষ্ট সহযোগী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে রূপগঞ্জের নাওড়া এলাকা থেকে একটি বিদেশী পি¯Íল, ম্যাগাজিন ওগোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সংশিøষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ রূপগঞ্জ ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণা, জমি দখল, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বাহিনীতে ৭০ থেকে ৮০ জন সদস্য রয়েছে। এলাকার সাধারণ জনগণ মোশা বাহিনীর সন্ত্রাসীদের জন্য সবসময় আতঙ্কে থাকত। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র, প্রতারণা ও মাদকসহ ৪০টির অধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে সে একাধিকবার কারাভোগ করেছেন।