দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে বিআইডবিøউটিএ’র উপপরিচালক মো.শহীদুলøাহ’র নাম ভাঙ্গিয়ে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে মসজিদ,মাদ্রাসা ও কবরস্থানের নামে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো.আসাদুজ্জামানের বড়ভাইয়ের ছেলের নামে।
আর এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মাষ্টার ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজারের গায়ে বিআইডবিøউটিএ’র অনুমতিক্রমে নুর-উল ইসলাম মসজিদ,মাদ্রাসা ও কবরস্থান লেখা নামে একটি ব্যানার সাটিয়ে দিব্ব্যি বড় বড় বাল্কহেডগুলো বালিতে পরিপুর্ন করছে। সেখানে গিয়ে ড্রেজারের শ্রমিকদের ডাকা হলে তারা সামনে অঅসার পরিবর্তে উল্টো ড্রেজারটি চালু করে দ্রæত ঘটনাস্থলে থেকে সটকে পড়ে।
তবে স্থানীয়রা জানান,শুনেছি একটি মসজিদ মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্য নাকি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু কাটছে তারা। তবে প্রতিদিন যে হারে বাল্কহেড দিয়ে বালু নিচ্ছে তাতে করে এতদিন উক্ত জমিটুকু ভরে যাওয়ার কথা। তবে তারা এখান থেকে বিভিন্নস্থানে বাল্কহেড দিয়ে বালু অন্যত্র বিক্রি করছেন।
এদিকে ড্রেজারের পাশে সাংবাদিক এসেছে শোনামাত্রই নদীরপাড়ে ছুটে আসেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মাষ্টার ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসানসহ স্থাণীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা। তারা সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যানের ( আসাদুজ্জামান ) বড়ভাই প্রয়াত নুর-উল ইসলাম তার নিজস্ব জমি থেকে ১০০ শতাংশ জমি দান করেছেন মসজিদ-মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্য।
আমরা বিআইডবিøউটিএ’র কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। তারা তো অনুমতি দেয়নি। তবে মৌখিকভাবে বলেছেন। তারা আরো বলেন,নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে তাদের প্রতিদিন ৩৭ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সে টাকা যোগান কিভাবে হচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তরও তাদের কাছে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে আপনারা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তা অন্যত্র বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের জবাব তারা অস্বীকার করে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয় শওকত চেয়ারম্যান ও আসাদ চেয়ারম্যানও জানেন। এতবড় একটি প্রকল্প আপনারা ইউএনও কিংবা ডিসির সহযোগিতা নিলেন না কেন এমন প্রশ্ন করা হলে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ দিকে স্থানীয়দের দাবী,শত শতাংশ জমি ভরাট করতে এত বালুর প্রয়োজন হয়না যতটুকু না তারা প্রতিদিন ড্রেজারের মাধ্যমে উত্তোলন করছেন। মসজিদ মাদ্রাসা কিংবা কবরস্থানের কথা বলে তারা সাধারন মানুষের মনকে নরম করে বালু উত্তালন করে তা বেশীরভাগ অন্যত্র বিক্রি করছে এটাই হচ্ছে মুল কথা।
এ ব্যাপারে বালু উত্তোলনকারী চক্রের অন্যতম সদস্য রাজ্জাক মাষ্টার বলেন,বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বী শওকত আলী সাহেবকে বলেছি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও বিআইডবিøউটিএ’র উপ পরিচালক শহীদুলøাহ্ এর মৌখিক নির্দেশে মসজিদ ও কবরস্থানের জন্য নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন,আমি সাত দিন ছুটিতে ছিলাম। বালু উত্তোলনের বিষয় কিছু জানিনা। বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী ভাই আমাকে বালু উত্তোলনের কথা জানিয়েছেন। যেহেতু বালু উত্তোলন অবৈধ এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এ বিষয়ে নুর-উল ইসলামের ছেলে সাফায়াত’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।