দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদকে ঘিরে চলছে তুমুল লড়াই জেলা বিএনপির দুই নেতার মধ্যে। লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে কে পড়বেন সম্পাদকের মালা খোকন না রাজিব সেটার অপেক্ষায়ই বিএনপি নেতারা।
আগামী ১৭ই জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জেলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উত্তেজনা।সেই উত্তেজনাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সেই” সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে।
সম্মেলনকে ঘিরে তফসিলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনও করা হয়েছে গঠন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুইটি পদের জন্য হবে ভোট। তাই এই পদের জন্য ভোটার কারা তাদেরও করা হয়েছে নামের তালিকা প্রকাশ গত ১২ই জুন। ১৩ই জুন ছিলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের দিন।
সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম আজাদ, দীপু ভূইয়া, মাশুকুল ইসলাম রাজিব,গোলাম মুহাম্মদ ফারুক খোকনের নাম কানাঘুষা উঠলেও শেষ অবধি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সভাপতি পদে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মাশুকুল ইসলাম রাজিব ও গোলাম মুহাম্মদ ফারুক খোকন।
বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা ও বিনা ভোটে সভাপতির পদে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন নির্বাচিত হয়ে গেলেও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াইয়ে কে হাসবে আর কে কাদবে তা নিয়েই কৌতূহল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে।
নিয়ম মেনে আজ জেলা বিএনপির দ্বি বার্ষিক কাউন্সিলে নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সহকারী রিটার্নিং অফিসার এড. কাউসার আলম চৌধুরী টুটুল, এড. জাহিদ হাসান মুক্তা, এড. সামসুল আরেফিন টুটুলের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন এই দুই প্রার্থী।
দুই জনেরই শক্ত অবস্থান ও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী নেতাকর্মী রয়েছেন। একজন মাশুকুল ইসলাম রাজিব নিজেই সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্র ছাত্রী সংসদের ভিপি,জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক,জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
এছাড়াও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের অনুসারী। আরেকজন গোলাম মুহাম্মদ ফারুক খোকন তিনিও এককালের দাপটে ছাত্রদল কর্মী ছিলেন,জেলা যুবদলের আহবায়ক এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে এখনো দায়িত্বে আছেন সেই সাথে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সমর্থনকারী।
আগামী ১৭ তারিখেত এক পদে দুই রাঘব বোয়ালের লড়াইয়ে কতটা ফলপ্রসূ আসবে তা নিয়েও সন্দেহহীন কারন বর্তমান এই দুঃসময়ে নিজেদের মধ্যে দলীয় পদ নিয়ে লড়াইকে বড় করে দেখছেন এই দুই রাঘববোয়াল। পদটাই মূখ্য ভূমিকায় অবস্থান করছে। এতে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ও আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে কি
কি প্রভাব ফেলবে তা নিয়েই উদ্বিগ্ন বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে ১৭ তারিখ কার গলায় ফুলের মালা পড়ছে তা দেখার অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও এই দুই প্রার্থীর অনুসারীদের।