দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: স্বচ্ছাতাকে পাশ কাটিয়ে এবং পরিবারতন্ত্র রাজনীতি থেকে মুক্ত করার ঘোষনা দিয়ে এবার বিএনএফ, বিদিশা ফাউন্ডেশন, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত নেতাদের নিয়ে মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট কমিটি সাজিয়েছেন এ্যাড. সাখাওয়াত ও এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
যদিও তারা কমিটি পাওয়ার পর থেকে আওয়ামীলীগ ঘেষা ও লাঙ্গল মার্কা নেতাদের থেকে বিএনপিকে মুক্ত করার ঘোষনা দিয়েছেন বহুবার।
অথচ খোদ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু যিনি মহানগর বিএনএফ এর প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেছিলেন। আর সেই কমিটিতে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অনেক রথি মহা রথিদের পদ পদবি।
এছাড়াও মহানগর বিএনপির সকল ইউনিট কমিটি গুলো আওয়ামীলীগ ঘেষা, লাঙ্গল মার্কা নেতাদের দিয়ে কমিটি সাজানোর ফলে দলের স্বার্থ হাসিল না হলেও তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল হবে বলে দাবি করেছেন দলটির তৃণমূল।
এদিকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান রাজনৈতিক পাড়ায় দলের সাথে বৈঈমানী করার কলঙ্কের অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন অর্থের বিনিময়ে নাসিক নির্বাচনে। আর এই বিষয়টি রাজনৈতিক পাড়ায় বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়ে ছিলো। আবারো সেই ঘটনার অভিযোগ উঠছে বিএনপির তৃণমূল থেকে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির তৃণমূল নেতারা দাবি করে বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ দল এখানে সমর্থকদের অভাব নেই। তবে কেন সিনিয়র নেতাদের বলি দিয়ে বিদিশা ফাউন্ডেশন, আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি ঘেষা নেতাদের দিয়ে বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গুছাতে হবে। কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তরিগড়ি করে কমিটি সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন এই দুই নেতা।
তারা আরও অভিযোগ করে বলেন, মহানগর বিএনপির আওতাধীন দুটি থানা কমিটিতেই বিদিশা ফাউন্ডেশন সমর্থক ও ঢাকঢোল পিটিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করা নেতাদের দিয়ে সম্মেলনের নামে তরিগরি করে কমিটি ঘোষনা করলেন তারা।
ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী বিদিশা এরশাদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছিলো সদর থানার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আনোয়ার প্রধানের সঙ্গে। যদিও এ্যাড. আনোয়ার প্রধান সেই সময় জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা এখনও চলমান।
অপরদিকে, বন্দর থানা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি শাহেন শাহ বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে মিছিল নিয়ে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনকে প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিনে ফুল দিয়ে যোগদান করেন। আর সেই সময় শাহেন শাহ কাউন্সিলরও ছিলো না। যা স্থানীয় মিডিয়াতে বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়ে ছিলো।
ঠিক একই কায়দায় বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে যুগ্ম-আহবায়ক হিসেবে যাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিলো যুবদলের একাধিক নেতাদের। এর মধ্যে একজন বরিশাইলা লিটন যিনি বর্তমান ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে বিভিন্ন টেন্ডারবাজী করে বিপুল পরিমান সম্পদের পাহার গাড়ে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে অর্থের বিনিময় লোক দেখানো সম্মেলন করে তাকে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ ওয়ার্ড কমিটি গুলো একই ভাবে বর্হিরাগতদের দিয়ে কমিটি সাজিয়েছেন বলে নানা অভিযোগ তুলছেন বিএনপির তৃণমূল।