দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: জাকির খান ছাত্রদলের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তৎকালীন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়াত নাসিরউদ্দিন পিন্টু ও জেলা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সভাপতি জাকির খানকে নিয়ে কটুক্তি করেছিল তখনকার ইসদাইরের শীর্ষ সন্ত্রাসী মাকলেকুল মান্নান পায়েল।
সাংবাদিক সম্মেলনে পায়েল বলেছিল, খানকিপাড়া ও বেশ্যাপাড়ার টাকায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকির খানের কেনা শাড়ি আপনি বেগম খালেদা জিয়া, চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিভাবে গ্রহন করতে পারেন।
সেই মাকলেকুল মান্নান পায়েলকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির ৫৬ নং নির্বাহী সদস্য ও ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড কমিটির ৩৪ নং সদস্য পদে রাখা হয়েছে।
একটি সুত্র হতে জানা যায়,১৯৯৭ কিংবা ১৯৯৮ সালে যখন জাকির খান নারায়নগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন তখন মাকলেকুল মান্নান পায়েল বেগম খালেদা জিয়া ও নাসিরউদ্দিন পিন্টু কে জড়িয়ে বলেন জাকির খানের খানকি পাড়ার টাকায় শাড়ি পড়েন,পিন্টু সেই টাকায় গাড়িতে চলে।তখন এ সংবাদ স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পরে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে জাকির খানের টানবাজার পতিতালয়ের টাকায় বেগম খালেদা জিয়া শাড়ী পড়েন বক্তব্য রাখলে দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সেই মাকলেকুল মান্নান পায়েল জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের অনুসারী হওয়ায় দলীয় চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে কটুক্তি করা সত্বেও ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে রাখায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
ইসদাইর এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,মাকলেকুল মান্নান পায়েল এর বাবা আব্দুল মান্নান পূর্ব ইসদাইর পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি, পূর্ব ইসদাইর শাহী মসজিদের সভাপতি। পঞ্চায়েত কমিটির অফিস পায়েলদের বাসায় হওয়ায় সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিচারের নামে টর্চার করা হয়।পায়েল ও তার বাবা মান্নান আওয়ামী লীগের লোকজনকে ম্যানেজ করে বিচারের নামে প্রহসন করলে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়না।
শাপলা সংসদ নামে আরেকটি সংগঠন রয়েছে সেটার ও সভাপতি পায়েলের বাবা আব্দুল মান্নান। একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় পিতা- পুত্র দুজনে বিচার শালিশের নামে ধান্ধাবাজিতে মেতে উঠেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নিধন করায় যেন পিতা- পুত্রের মনোবাসনা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড আবু আল ইউসুফ টিপু বলেন, পায়েল তখন খালেদা জিয়াকে কটুক্তি করেনি।পিন্টুকে করেছিল।
জাকির খানের বিশ্বস্ত হাতিয়ার পারভেজ মল্লিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এত আগের কথা মনে নাই।তবে ৯৭-৯৮ সালের দিকে জাকির খান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ছিল।
এ ব্যাপারে মাকলেকুল মান্নান পায়েল বলেন,আমি খালেদা জিয়াকে নিয়ে কোন ধরনের কটুক্তি করিনি।তখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়।আমি সাংবাদিক ভাইদের প্রেস রিলিজ দিয়েছিলাম সেটা যদি জোগাড় করে দেখতে পারেন ভালো হয়।ইসদাইর কোন কোন বিএনপি নেতাদের নির্যাতন করা হয় তাদের নাম দেন।
আমার জানা মতে ইসদাইরে হাতে গোনা কয়েকজন বিএনপি আছে। আমার বাবাকে গন্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সবাই মান্য করে।যারা সাংবাদিকদের ব্যবহার করছে তারা হয়তো আওয়ামী লীগের বি টিম কিংবা উভয় দিক ম্যানেজ করে চলে।আমার এলাকার কিছু লোক জড়িত যারা মাদক ব্যবসা করে।
আমি তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়াবো বলে নিন্দনীয় কাজটি করছে।আমার ব্যাপারে জানতে হলে রাজিব,মাসুদ,জোসেফ,টিপু ভাইকে বলবেন।আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়।