দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা ফতুল্লায় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ইমাম হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাত দশ টায় ফতুল্লা রেলষ্টেশন ব্যাংক কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত ইমাম হোসেন বাদী হয়ে মাদক স¤্রাট মহসিন,শাকিল, আগুন, তপু, সেরু বাবুসহ দশ জনের নাম উলেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের নামে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ইমাম হোসেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দাপা ইদ্রাকপুর ব্যাংক কলোনী এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানায়,ফতুল্লায় রেলষ্টেশন,ব্যাংক কলোনী,জোড়াপুল এলাকায় প্রকাশ্যে হেরোইন ও গাজাঁ বিক্রি করে আসছে মহসিন, শাকিল,আগুন,তপু,সেরু বাবুসহ একাধিক গ্রুপ বেশ কিছু ধরে ইমাম হোসেনসহ এলাকাবাসী এর প্রতিবাদ করে আসছে। এলাকাবাসী ও ইমাম হোসেন মাদক বন্ধ করার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করে মাদক বিক্রি বন্ধ করার জন্য দাবী জানান।
এরই জের ধরে মাদক ব্যবসায়ীরা এক জোট হয়ে মহসিন, শাকিল, আগুন, তপু, সেরু বাবুসহ ত্রিশ থেকে চল্লিশ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে বাসা বাড়ির গেইটে আওয়াজ সৃষ্টি করে আতঙ্ক করে।পরে রাস্তায় ইমাম হোসেনকে একা পেয়ে তার উপর হামলা চালায়।
ইমাম হোসেনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আহত ইমাম কে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।
ইমাম হোসেন জানান, অত্র এলাকায় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা ও সেবন করে আসছে। আমিসহ এলাবাসী মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য সামাজিক আন্দোলন করে আসছি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমর উপর হামলা করে মারধর করে।
সূত্রে জানা যায়, মাদক সম্রাট মহসিনের বিরুদ্ধে সোর্স সোহাগ হত্যাসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এস আই রুকনুজ্জামানের ভাতিজি জামাই পরিচয় দিয়ে তার প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিয়ে নিজের মাদক ব্যবসা নিরাপদে করে আসছিল।
এ বিষয়ে ফতুল্লায় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, অপরাধী সে যে-ই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে কাজ করছি আমরা। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।