দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর রাজাপুর গ্রাম হতে পরকিয়া প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী সালমা আক্তার তার প্রেমিক কায়সার হাসান আওলাদের সাথে পালিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে সালমা আক্তারের সাবেক স্বামী রাজাপুর গ্রামের সোনা মিয়ার পুত্র জামাল হোসেন বাদী হয়ে হয়ে বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২নং আমলী আদালত নারায়ণগঞ্জে সিআর মামলা নং-৬০৪/২৩ দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়,রাজাপুর গ্রামের আনোয়ারুজ্জামানের কন্যা জাহিদুজ্জামান স্বপন ও ওহিদুজ্জামান রতনের বোনের সাথে একই এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ জামাল হোসেনের সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ২৭ বছর আগে বিয়ে হয়।
বিবাহিত জীবনে ২ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তানের মা হন পরকিয়ায় আসক্ত সালমা আক্তার ওরফে রওশন আরা।
সালমা আক্তারের সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন বর্তমান ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ও রাজাপুর এলাকার মৃত আহসান উল্লাহর পুত্র কায়সার হাসান আওলাদ। পরকিয়ায় আসক্ত সালমা ও আওলাদ সম্পর্কে মামাতো- ফুফাতো ভাইবোন হওয়ায় প্রায় সময় আওলাদ রাজাপুরে জামালের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। আসা যাওয়ায় মাঝে সালমা আক্তার ওরফে রওশন আরা ও কায়সার হাসান আওলাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া ও অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে পরকিয়া প্রেমিক কায়সার হাসান আওলাদ তার পরকিয়া প্রেমিকা সালমা আক্তারকে ফুসলিয়ে রাজাপুরের বাড়ি হতে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় নগদ ২ লাখ টাকা নিয়ে যায় সালমা আক্তার। পরকিয়া প্রেমিক – প্রেমিকা কক্সবাজারের কলাতিয়া এলাকায় অবস্থান করে অবৈধ ভাবে শারিরীক সম্পর্ক করতে থাকে।
পরে জামাল হোসেন তার শ্বশুর বাড়িতে পরকিয়া প্রেমিক ও প্রেমিকাকে দেখতে পেয়ে ঘর থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া নগদ ২ লাখ টাকা ফেরত চাইলে মামলার আসামী সালমা আক্তার ও তার পরকিয়া প্রেমিক কায়সার হাসান আওলাদ বাদী জামাল হোসেন কে নানাবিধ হুমকি- ধামকি প্রদান করে।
সালমা আক্তার ওরফে রওশন আরা তার ২ মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন এবং একমাত্র পুত্র বিয়ের উপযুক্ত হওয়া সত্বে পরকিয়া প্রেমিক মামাতো ভাইয়ের সাথে পলায়নের সংবাদে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পরকিয়া প্রেমিক ও মামলার ২নং আসামী কায়সার হাসান আওলাদের বক্তব্য জানার জন্য ০১৯১০৭৭৪৫★★ নাম্বার মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।