দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নিজ ঘরে বিএনপির নেতাদের রেখে মাঠে-ময়দানে মিছিলে-মিটিংয়ে সেই বিএনপি নেতাদের বিচার দাবী করে বেড়াচ্ছেন বৃহত্তর এনায়েতনগর ৭.৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.মতিউর রহমান প্রধান। এমন বিষয়টি নিয়ে নিজ এলাকাতেই চলছে নানা কানাঘুষা।
আওয়ামীলীগ নেতা মতিউর রহমানের ভাগিনা মশিউর রহমান রনি জেলা যুবদলের সদস্য সচিব এবং বড়ভাই আবেদ আলী প্রধানের ছেলে সাইফুর রহমান প্রধান এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের একটি ভাইটাল পদে রয়েছে। অপর ভাতিজা আতাউর রহমান প্রধান তিনিও ছিলেন যুবদল নেতা। বর্তমানে আওয়ামীলীগে যোগদান করে এনায়েতনগর ইউপির মেম্বার হিসেবে রয়েছে। বাহিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধাচারন করে বক্তব্য দিলেও ঘরে যেমনভাবে লালন-পালন করছেন এ যেন ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনা’ অবস্থা।
গত শুক্রবার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামরুল ইসলাম নিয়ে “বিএনপি-জামাত জোটের সাথে আতাত রয়েছে” এমন বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই নিজ এলাকাতেই চলছে মতি প্রধানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। শনিবার দুপুরে থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.সাইফুল্লাহ বাদলের বাসভবনে ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের জরুরী সভায় থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দৃষ্টিগোচরের জন্যই এমনটা অভিমত ব্যক্ত করেন মতি প্রধান। অথচ কামরুল মেম্বার দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানান ৭.৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের অনেক বাসিন্দা। দীর্ঘদিনের রাজনীতির ক্যারিয়ারে একটি পদ চাওয়াতেই বাধা পড়ে মতি প্রধানের।
স্থানীয়রা জানান,মতি প্রধানের ভাগিনা মশিউর রহমান রনি জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছে। এ রনি কিন্তু বেশ কয়েকবার মতি প্রধানের রাজনৈতিক গুরু সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে বেফাঁস বক্তব্য দিয়েছেন। যা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইলেও তাতে কর্নপাত করেন মতিউর রহমান প্রধান। আরেক ভাতিজা সাইফুর রহমান প্রধানও যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার পরিবারের অনেক সদস্যই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অথচ রাজনীতির মাঠে নেমে বিএনপির সমালোচনা করাটা কতটুকু যুক্তি সঙ্গত হয় মতি প্রধানের ক্ষেত্রে তা কারোর জানা নেই। ভাগিনা ও ভাতিজা বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও তাতে কোন মাথা নেই মতি প্রধানের। মাথা ব্যাথা শুধুমাত্র অন্যদের ক্ষেত্রে।
আর মাত্র ৪ মাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। এদিকে একদফা দাবীতে বিএনপি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে তাদের দাবীর আদায়ের জন্য। গত ২৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জসহ ঢাকাতেও বিএনপি অবস্থান কর্মসুচির নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। উক্ত বিষয়ে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ একাধিক মামলাও করেছেন। আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দরা যেখানে বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মাঠে আন্দোলন করছেন সেখানে সেই বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের সদস্যদের ( মশিউর রহমান রনি ও সাইফুর প্রধান ) বিরুদ্ধে কি অবস্থানে দাড়াবেন মতি প্রধান জানতে আগ্রহী উৎসুক মানুষের। তিনি তি পারবেন ভাগিনা ও ভাতিজার বিরুদ্ধে অবস্থান করতে নাকি ঘরে লালন করে বাহিরে দমন করবেন ?