দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস ডটকম: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সংলগ্ন উত্তর পার্শ্বের নলখালী খালটি ময়লা আবর্জনা ও মাটি স্তুপে পরিপূর্ণ হলেও যেন দেখার কেউ নেই। এলাকাবাসী খালটি দ্রুত পরিষ্কার করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের উত্তর পাশ্ব সংলগ্ন খালটি পরিস্কার করা হয়েছিল।
এরপর আর কখনো খালটি পরিষ্কার না করায় ময়লা আবর্জনা ও খালের নিচে মাটির স্তর জমে আছে।
এতে করে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই পার্শ্ববর্তী শিল্প কারখানা সহ বাড়িঘর দৃষিত পানিতে তলিয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান, সামান্য বৃষ্টিপাত হলে খালের পানি দ্রুত শর্তে না পারায় আশেপাশে শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বাড়িঘর ময়লা পানিতে তলিয়ে যায়। এত করে শিশুসহ বয়স্ক লোক গুলো ঠান্ডা কাশি সহ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের দাবি দ্রুত যদি খালটি সংস্কার করা হয় তাহলে বৃষ্টি সহ ডাইংয়ের পানি প্রবাহ নদীতে গিয়ে সহজে পড়তে পারবে।
জানা যায়, উক্ত খাল সংলগ্ন বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দেশের রাজস্ব খাতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছে। এদের মধ্যে একতা ডাইং, হাজী মোহাম্মদ আলী ডাইং, সৈকত নীটওয়ারস এন্ড ডাইং, কুতুবাইল টেক্সটাইল, ওরিয়ন ডাইং, চাঁদনীট এন্ড কম্পোজিট ডাইং, আবির গার্মেন্টস, সেলিম ডাইং, বিসমিল্লাহ ডাইং,জিলানী ডাইং, ন্যাশনাল ডাইং অন্যতম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় লালপুর ও তার আশেপাশের জলাবদ্ধতার পানি পাম্পের মাধ্যমে এই খালে ফেলানো হয়। যা নলখালী খাল দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে গিয়ে পড়ে।
খালটি শিবু মার্কেট হতে ফতুল্লা রেললাইন আর রেললাইন এবং শিবু মার্কেট হতে হাজীগঞ্জ পর্যন্ত খালটি সংস্কার করা হলে পানির দ্রুত গতিতে সরে যাবে। এতে করে জলাবদ্ধতার তার সৃষ্টি হবে না।
তাই খালটি দ্রুত সংস্কার বা পরিস্কার করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত ফেরদৌসের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।